Advertisment

Mamata Banerjee: বিচারপতি 'বিজেপি-দরদী, নন্দীগ্রাম পুনর্গণনা মামলা অন্য বেঞ্চে সরানোর আবেদন মমতার

বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূলে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
nhrc report on post poll violence is politically motivated tmc government

কমিশনের বিরুদ্ধে হলফনামায় কড়া নবান্ন।

নন্দীগ্রাম পুরনর্গনণা মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে। এদিন সেই মামলার শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়। দুপুর গড়াতেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। প্রকাশ্যে আনা হয় বিচারপতির সঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতির ছবি। আর তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কৌশিক চন্দের এজলাস থেকে মামলা অন্যত্র সরানোর জন্য আইনজীবী মারফত আদালতের কাছে আবেদন জানালেন মামলাকারী তথা নন্দীগ্রামের তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisment

নন্দীগ্রামে ভোটে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হন তৃণমূল নেত্রী। অবশ্য প্রথমে ১২০০ ভোটে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হয়েছেন বলে খবর রয়ে যায়। পরে কমিশন ঘোষণা করে, প্রায় ১৯০০ ভোটে জিতেছেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তারপরই ভোটের দিন ও গনণার সময় কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপধ্যায়। পুনর্গণনার দাবি জানান মমতাও তাঁর দলের সহকর্মীরা। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার তা নাকচ করে দেন। ফলে রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় তৃণমূলের তরফে। এরপরই নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে ভোটের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করে রাজ্যের শাসক শিবির।

আরও পড়ুন- নন্দীগ্রাম পুনর্গণনা মামলা: বিচারপতির এজলাস নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূলের

আরও পড়ুন- হাজির হননি মামলাকারী মমতা, পিছিয়ে গেল নন্দীগ্রাম ভোট পুনর্গণনা মামলা

কিন্তু প্রথম দিনের শুনানি শুরুতেই বিতর্ক দানা বাঁধে। বিচারপতি 'বিজেপি-দরদী' বলে সোশাসল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারাণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও জাতীয় মুখপাত্রা ডেরেক ও'ব্রায়েন। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপির সঙ্গে যোগ রয়েছে বিচারপতির চন্দের। আর নন্দীগ্রাম পুনর্গনণার মতো হাইপ্রোফাইল মামলা তাঁর এজলাসেই পাঠানো হয়েছে। এর পিছনে রহস্যের ইঙ্গিত করা হয়। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে ন্যায় বিচারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিচারপতি চন্দের এজলাস থেকে ওই মামলা অন্যত্র সরানোর আবেদন জানিয়েছেন।

নিয়ম অনুসারে, কোন মামলা কোন বিচারপতির এজলাসে যাবে তা নির্ধারণ করেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তবে, মামলাটি প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টের অন্য এক বিচারপতি এজলাসে ওঠার কথা হয়। কিন্তু, পরে তার বদল ঘটে। কেন এই পরিবর্তন? এই বিষয়ে সোচ্চার না হলেও কৌতুহলের অবকাশ রয়েছে বলে মনে করছে রাজ্যের শাসক শিবির।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc bjp Mamata Banerjee Calcutta High Court Nandigram Result
Advertisment