মধ্য প্রদেশে গোমাংস ভক্ষণকারী কী করে ভোটে জিতে গেল, তা নিয়ে খুবই আশ্চর্য হয়েছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বিশেষ করে যে রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল একটি জাতীয়তাবাদী সরকার, সেখানে এমন কাণ্ড ঘটায় তিনি আরও অবাক।
বিজয়বর্গীয়র এ কথার উদ্দেশ্য ছিল কংগ্রেসের ভোপাল সেন্ট্রালের বিধায়ক আরিফ মাসুদ। মাসুদ সারা ভারত মুসলিম ব্যক্তিগত আইন বোর্ডের সদস্য। তিনি এবারের ভোটে বিজেপি-র সুরেন্দ্র নাথ সিংকে হারিয়েছেন।
বিজেপি কর্মীদের এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময়ে মঞ্চ থেকে বিজয়বর্গীয় বলেন, ”আপনার পরাজয়ে আমি খুবই উদ্বিগ্ন। রাজ্যে গোহত্যা নিবারণী জাতীয়তাবাদী সরকার ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও গোমাংস ভক্ষণকারী একজন আপনার বিরুদ্ধে জিতে যাওয়ার ঘটনায় আমি খুবই আশ্চর্য। এ ঘটনা আমাদের সকলের পক্ষে লজ্জার।”
আরও পড়ুন, মোদী তিন কেজি গোমাংস খুঁজে পান, ৩৫০ কেজি আরডিএক্স পান না: কংগ্রেস
এ ব্যাপারে সানডে এক্সপ্রেসের তরফ থেকে বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমার যা বলার আমি বলেছি। এটা অত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নয়। মাসুদ তত বড় কেউ নয়, যে তাকে নিয়ে আমি কথা বলব। আমি যা বলেছি, তা আমি স্বীকারও করছি না, অস্বীকারও করছি না।“
মাসুদের বক্তব্য, তিনি কখনও গোমাংস খাননি। তিনি বলেছেন, বিজেপি নেতা হয় তাঁর বক্তব্যের প্রমাণ দিন, নয় তো ক্ষমা চান। মাসুদ বলেন, “উনি হতাশা থেকে এসব বলছেন। উনি কি কোনওদিন আমার সঙ্গে লাঞ্চ বা ডিনার খেয়েছেন, যেখানে আমি গরুর মাংস খাচ্ছিলাম!“
কংগ্রেস নেতা মাসুদ বলেন, তাঁর বিধানসভা এলাকায় ৬০ শতাংশ ভোটারই হিন্দু। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারের সময়েও বিজেপি তাকে উগ্র মুসলিম এবং সাম্প্রদায়িক প্রমাণের চেষ্টা করে ভিডিও ছড়িয়েছিল, কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।
২০১৩ সালের নির্বাচনে সুরেন্দ্র নাথ সিংয়ের কাছে হেরে গিয়েছিলেন মাসুদ। পাঁচ বছর পরের ভোটে তিনি সুরেন্দ্রকে হারিয়েছেন ১৪ হাজার ভোটে। ভোটের আগে হনুমান মন্দিরে গিয়েছিলেন তিনি। বেশ কিছু হিন্দু সাধু মাসুদের হয়ে প্রচারও করেছিলেন।