অর্জুন সিং-এর পর কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। ফের মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি বিজেপি নেতৃত্বের। ''সাংসদ অর্জুন সিংকে হত্যা করা হলে বাংলায় আর এক দিনের জন্যেও শাসন করতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়'', এই ভাষাতেই 'চেতাবনি' দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। গেরুয়া শিবিরের এই নেতার অভিযোগ, ''ব্যারাকপুরের সাংসদকে হত্যার চেষ্টা করছে রাজ্য প্রশাসন।''
ভোটের পর থেকেই উত্তপ্ত ভাটপাড়া, শ্যামনগর সহ ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা। জোড়াফুলের সঙ্গে পদ্মফুলের সংঘর্ষ তুঙ্গে। ঘটে চলেছে একের পর এক হিংসার ঘটনাও। সম্প্রতি, বিজেপি তৃণমূল অশান্তি ঘিরে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায় শ্যামনগরে। মাথাফাটে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের। অর্জুন সহ বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারের ইচ্ছাকৃত মারেই তাঁর এই অবস্থা। এই ঘটনা ঘিরেই সম্প্রতি চরম উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।
আরও পড়ুন: মমতাই আমাকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছেন, বিস্ফোরক অর্জুন সিং
৪ সেপ্টেম্বর বুধবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে অর্জুন সিং বলেছিলেন, ''যেদিন থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি, সেদিন থেকে আমার নামে মামলা করে যাচ্ছে। এখানে সাংসদ, বিধায়ক, সাংবাদিকের সুরক্ষা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন''। এরপরই অর্জুন বলেন, ''মুখ্যমন্ত্রী খুনের ষড়যন্ত্র করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে। ''
তৃণমূল ও মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে মুরলীধর সেন লেন থেকে তোপ দাগেন মুকুল রায়ও। তাঁর দাবি ছিল, ''অর্জুনকে খুন করতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।''
অর্জুন সিং হেনস্থা ইস্যুকেই আপাতত পাখির চোখ করেছে পদ্ম শিবিরের নেতারা। মুরলীধর সেন লেন থেকে দিন দয়াল উপাধ্যায় ভবনের নেতাদের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো। কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের কথাই তার জোরালো ইঙ্গিত। তাঁদের দাবি, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি রাজ্য সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ। আর এই বিষয়টিই জনসমক্ষে তুলে ধরে বাংলায় তৃণমূলের ভিত টলাতে মরিয়া বিজেপি।