কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপির মুখ্য অভিযোগ, তারা ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’দের সাহায্যে তাঁদের দলের অন্তত ২৩জনকে খুন করেছে। এই বিষয়ে উদুপির বিজেপি সাংসদ শোভা করন্দলাজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে এই ২৩ জন মৃতদের নাম উল্লেখ করে একটি চিঠি লেখেন।
বিজেপির এই তালিকার শীর্ষে থাকা নাম অশোক পূজারি। বিজেপির দাবি অনুযায়ী, এই নেতা ২০১৫ সালে ২০ ডিসেম্বর মারা গিয়েছেন। অথচ, এনডিটিভি-র একটি রিপোর্টের মতে, তিনি আজও বহাল তবিয়তে বেঁচে। রিপোর্টটির দাবি, তাঁদের একজন সাংবাদিক অশোকের সঙ্গে তাঁর গ্রামে গিয়ে দেখা করেছেন। অশোক পূজারির গ্রাম ম্যাঙ্গালোর থেকে ২ কিমি দূরে।
আরও পড়ুন, চাকরি খোঁজার চেয়ে গরুর দুধ দোয়ান, বিপ্লবের নতুন বাণী
পূজারি বজরং দলের কর্মী। বিজেপির বক্তব্য অনুযায়ী ২০১৫ সালে একটি বাইকে করে যাওয়ার সময় তাঁর উপর ৬ অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তাঁর উপর হামলা চালানোর প্রধান কারণ ছিল যে, তিনি একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই রিপোর্টটির দাবি, আততায়ীরা অশোকের মাথায় গেরুয়া পাগড়ি দেখে তাঁকে হিন্দুত্ববাদী হিসেবে চিহ্নিত করে। পূজারি বিয়েবাড়িতে ড্রাম বাজানোর কাজ করে।
আরও পড়ুন, রাহুলের বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগ! ষড়যন্ত্রের অভিযোগ কংগ্রেসের
সেই সাংবাদিককে পূজারি বলেন যে, হামলার পর তিনি অন্তত ১৫ দিন আইসিইউ-তে ছিলেন। তারপর ঈশ্বরের কৃপায় তিনি বেঁচে যান। তিনি আরও বলেন যে, তাঁকে শোভা করন্দলাজে ফোন করে জানিয়েছেন যে অশোকের নাম ভুল করে মৃতদের তালিকায় রাখা হয়েছে। অথচ, বিজেপি আজও দাবি করে, তাঁদের ২৩ জন কর্মীকে খুন করা হয়েছে। কর্নাটক বিধানসভা ভোটের প্রচার চলাকালীন নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন, কর্নাটকে তাঁদের অন্তত দু’ডজন কর্মী খুন হয়েছেন।
আরও পড়ুন, দিল্লির সরকার মানুষের কথা শোনে এবং সেইমতো সিদ্ধান্ত নেয়ঃ প্রধানমন্ত্রী মোদি
কর্নাটক রাজ্য সরকার, তাঁর এই দাবি খারিজ করে, দাবি করেছেন, এই ২৩ জনের মধ্যে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যুতে কোনও ষড়যন্ত্র ছিল না। তাঁরা হয় ব্যক্তিগত শত্রুতার জন্য মারা গিয়েছেন অথবা আত্মহত্যা করেছেন।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জেলা অধ্যক্ষ জগদীশের দাবি, বিজেপি কোনও মিথ্যে তথ্য পেশ করেনি। যদি তালিকায় অশোক পূজারির নাম থেকে থাকে, তবে তা সত্য বলেই ধরে নিতে হবে।