ইস্তফা গ্রহণ না করে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছেন না কর্ণাটকের রাজ্যপাল, এই মর্মে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ জানালেন কর্ণাটকের ১০ বিদ্রোহী বিধায়ক। এঁদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস এবং জনতা দল, দু'দলের বিধায়কই। তাঁদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের এজলাসে আবেদন পেশ করলেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। তার ওপরে দ্রুত শুনানির জন্য তিনি অনুরোধ করেন। প্রধান বিচারপতি বৃহস্পতিবারই আবেদন শুনতে রাজি হয়েছেন।
কংগ্রেস- জনতাদল জোট সরকারের টালমাটাল অবস্থায় ঘন ঘন বদলে যাচ্ছে 'নাটকের' চিত্রনাট্য। রেনেসাঁ মুম্বই কনভেনশন সেন্টারের সামনে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার। জনতাদলের বিক্ষুব্ধ ১০ জন নেতার সঙ্গে বৈঠক করার অনুমতি দেওয়া হয়নি তাঁকে। অন্যদিকে দলের বিদ্রোহী নেতারা মুম্বই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন দলের নেতাদের কাছ থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁদের। বিধায়কদের বিক্ষোভের জেরে মুলতুবি হল কর্ণাটকের রাজ্যসভার অধিবেশন।
এই অবস্থায় কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারাস্বামীর পদত্যাগ দাবি করলেন বিজেপি নেতা ইেয়দুরাপ্পা। বললেন, "এখনও খুব দেরি হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করে বিজেপি সরকারের জন্য জায়গা করে দেওয়া উচিত"।
Former Karnataka CM and BJP leader BS Yeddyurappa in Bengaluru: We will meet the Karnataka Assembly Speaker at 3pm today. Speaker has still not condemned tearing up of resignations (of rebel MLAs) by DK Shivakumar. Tearing up of resignations is an 'apradh' that is unforgivable. pic.twitter.com/spshIAE63A
— ANI (@ANI) July 10, 2019
‘বিজেপিতে’ মমতা! সদস্যকার্ড নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি
বুধবার বিকেল ৩টের সময় রাজ্যসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করবেন বিজেপি নেতা। "বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ইস্তফাপত্র ছিঁড়ে ফেলা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি অধ্যক্ষ, এটি একটি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ"।
সোমবার কর্ণাটকের দুই বিধায়ক ইস্তফা এবং সমর্থন সরিয়ে নেওয়ায় সংকট বাড়ল কংগ্রেস-জেডি জোট সরকারের। দু’দল থেকে ৩০ জন বিধায়ক মন্ত্রিসভায় রদবদলের দাবিতে ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে কংগ্রেস-জনতাদল জোট সরকার কার্যত প্রশ্ন চিহ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে।
ওয়েলে নেমে স্লোগান কংগ্রেসের, গলা মেলালেন রাহুল
গত সপ্তাহেই ১৩ জন বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছিলেন জোট সরকারে। তারপর থেকেই সংকটে পড়েছিল কুমারাস্বামী সরকার। সরকারের টালমাটাল অবস্থার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারাস্বামী ১০ দিনের মার্কিন সফর থেকে দেশে ফেরার পরেই তাই বিমানবন্দরেই নিজের দল জেডি(এস) নেতা এবং শরিক দল কংগ্রেসের সঙ্গে বসালেন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।
কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতৃত্ব যদিও জানিয়েছে, মন্ত্রিসভায় রদবদল হলে সমস্যার সমাধান হতে পারে। এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল জানিয়েছেন, “কয়েকজন বিধায়কের কিছু ক্ষোভ রয়েছে। দলের বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে তারা স্বেচ্ছায় দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন”।
Read the full story in English