কপিরাইট ভেঙে 'ভারত জোড়'-এ বাজছিল গান, ভুল স্বীকারে বাঁচল কংগ্রেসের টুইটার অ্যাকাউন্ট

নিম্ন আদালত কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। ভুল স্বীকার করে গান বাতিল করতে রাজি হওয়ায় হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দিয়েছে।

নিম্ন আদালত কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। ভুল স্বীকার করে গান বাতিল করতে রাজি হওয়ায় হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Rahul Gandhi

কংগ্রেস এবং ভারত জোড় যাত্রার টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল স্থানীয় আদালত। সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল কর্ণাটক হাইকোর্ট। কংগ্রেস এবং ভারত জোড় যাত্রার টুইটার অ্যাকাউন্টে কেজিএফ-২ সিনেমার গান কপিরাইট ভায়োলেট করে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে সোমবার বেঙ্গালুরুর সিভিল আদালত ওই দুটি টুইটার অ্যাকাউন্ট অস্থায়ী ভাবে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশেই মঙ্গলবার স্থগিতাদেশ দিল কর্ণাটক হাইকোর্ট।

Advertisment

এই মামলায় নিম্ন আদালত জানিয়েছিল যে, প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে মামলাকারী এমআরটি মিউজিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ, বিনা অনুমতিতে কংগ্রেস এবং ভারত জোড় যাত্রায় কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সিনেমা কেজিএফ-২ এর গান ব্যবহৃত হয়েছে। এরপরই টুইটার ইন্ডিয়াকে ওই দুটি অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। তার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জানিয়েছে, এটা সম্পূর্ণই একটা শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হয়ে গিয়েছে।

সেই কথা মাথায় রেখে নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি আবেদনকারী মিউজিক সংস্থাকে ওই গান কংগ্রেস এবং ভারত জোড় যাত্রার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে সরানোর আগের স্ক্রিনশট আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছে। কংগ্রেস হাইকোর্টে এই মামলা জরুরি ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শুনানির আবেদন করেছিল। একইসঙ্গে অবশ্য সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

Advertisment

আরও পড়ুন- বিধানসভা নির্বাচনে গুজরাট বিজেপিকে স্লোগান উপহার মোদীর, গেরুয়ার স্লোগানের ইতিকথা

আদালতে কংগ্রেস বুধবার দুপুরের মধ্যে তাদের সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৫ সেকেন্ডের কপিরাইট গানের ওই ক্লিপ সরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। কংগ্রেসের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি জি নরেন্দর ও বিচারপতি পিএন দেশাইয়ের বেঞ্চ বলেছে, 'তাদের আবেদন গৃহীত হয়েছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ক্লিপ প্রত্যাহার করতে রাজি হয়েছে। তাই কপিরাইট রক্ষার জন্য কোনও আবেদন আদালতে জানালে, এই আদেশ বাধাপ্রাপ্ত হবে না।'

একইসঙ্গে কর্ণাটক হাইকোর্ট মনে করছে, কংগ্রেস যখন তাদের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে। কপিরাইট ভেঙেছে বলে মেনে নিয়েছে। আর, তাদের সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে কেজিএফ-২ এর ক্লিপ সরাতে রাজি হয়েছে, তখন তাদের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশ একটা অপরিণত কাজ হয়ে গিয়েছে।

Read full story in English

CONGRESS Karnataka High Court Bharat Jodo Yatra