কর্নাটকে নতুন করে তৈরি হল রাজনৈতিক সঙ্কট। কংগ্রেস-জেডিএস জোটের সরকারের ধুকপুকানি বাড়িয়ে ইস্তফা দিলেন ৮ কংগ্রেস ও ৩ জেডিএস বিধায়ক। শনিবার কর্নাটক বিধানসভার অধ্যক্ষের অফিসে ইস্তফা দেন কংগ্রেস ও জেডিএস বিধায়করা। দলের বিধায়কদের ইস্তফা দেওয়ার ফলে কর্নাটক বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা কমে হল ৬৯। জেডিএসের হাতে থাকল ৩৪ বিধায়ক। অর্থাৎ জোট সরকারের হাতে রয়েছে মোট ১০৩ বিধায়ক। অন্যদিকে, বিজেপির হাতে রয়েছে ১০৫টি আসন। কর্নাটক বিধানসভায় এই মুহূর্তে ম্যাজিক ফিগার ১০৬। ফলে ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে বিজেপির দরকার আর মাত্র ১টি আসন।
বিধায়কদের ইস্তফার খবর পাওয়ার পরই বেঙ্গালুরু রওনা দিয়েছেন কর্নাটক কংগ্রেস প্রধান কে সি বেণুগোপাল। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। আগামিকালের মধ্যেই কর্নাটক ফিরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। বর্তমানে আমেরিকায় রয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, সংবাদসংস্থা এএনআইকে বিধায়কদের ইস্তফা প্রসঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ রমেশ কুমার জানিয়েছেন, ‘‘আমার অফিসকে বলেছি, বিধায়কদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে। আগামিকাল ছুটির দিন, তাই সোমবার এ বিষয়টি দেখব’’।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর শাস্তি মাথা পেতে নেবে আকাশ, বললেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়
বিগত দিনে কুমারস্বামী সরকার ফেলে দিতে ইয়েদুরাপ্পা শিবির উঠেপড়ে লেগেছিল বলে খবর। বেশ কয়েকবার সরকার গড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছিল কর্নাটক বিজেপি নেতৃত্ব। তবে এদিন কংগ্রেস ও জেডিএস বিধায়কদের ইস্তফার নেপথ্যে বিজেপির কোনও হাত নেই বলেই দাবি ইয়েদুরাপ্পার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিধায়কদের ইস্তফা দেওয়ার পিছনে বিজেপির কোনও ভূমিকা নেই। অধ্যক্ষ কী পদক্ষেপ করেন, সেটাই দেখার। তবে এখনই রাজভবনে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই আমাদের। অন্যদিকে, সংবাদসংস্থা এএনআইকে সদানন্দা গৌড়া বলেন, কর্নাটকে যদি নতুন সরকার গঠিত হয়, তবে মুখ্যমন্ত্রী হবেন ইয়েদুরাপ্পাই।
Read the full story in English