স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ৫০ দিন পার করলেন অমিত শাহ। আর এই অর্ধশত দিবসেই শাহ বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর তিন প্রাথমিক অগ্রাধিকার। জম্মু-কাশ্মীর, নাগরিকপঞ্জি এবং পশ্চিমবঙ্গ- এই তিন বিষয়েই বিশেষ পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশের নয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দায়িত্বভার গ্রহণ করেই ২৬ জুন জম্মু কাশ্মীরে যান অমিত শাহ। অমরনাথ তীর্থযাত্রার ক্ষেত্রে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। প্রসঙ্গত, এই বৈঠকে যখন পুলিশ আধিকারিকরা জঙ্গি হত্যার তথ্য পরিসংখ্যান পেশ করার চেষ্টা করেন, তখনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কড়া জবাব, "এইসব তথ্য দিয়ে নয়, কাজের একটা বৃহত্তর চিত্র দিন আমাকে দেখান"। মন্ত্রীর ধমকের পরই জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশের কর্তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি বিস্তারিত বিবরণ দেন। দেশের সবচেয়ে অশান্ত রাজ্যের রাশ প্রথম থেকেই নিজের হাতেই রাখতে চান অমিত শাহ, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন- ২১ জুলাই ‘শহিদ দিবস’ কেন, কী ঘটেছিল সেদিন?
কেবল জম্মু-কাশ্মীর নিয়েই নয়, আসামও যে তাঁর চিন্তার বিষয় তা নিয়েও সরব হন অমিত শাহ। মোদী সরকারের অন্যতম বিতর্কিত ইস্যু এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়ালের সঙ্গেও আলোচনা করেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলা নিয়েও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন অমিত শাহ। সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনে 'হিংসা চলছে' বলে একাধিকবার আক্রমণ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে কাজ শুরুর দশ দিনের মাথাতেই বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মমতা সরকারকে অ্যাডভাইসারি নোটও পাঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
আরও পড়ুন, চেনেন পশ্চিমবঙ্গের নয়া রাজ্যপালকে?
উল্লেখ্য, সংসদের প্রথম দিনেই অমিত শাহ কাশ্মীরের সমস্যা, নাগরিকপঞ্জী নিয়ে বিজেপির কী দৃষ্টিভঙ্গি, তা উল্লেখ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তিনি যে জঙ্গি দমন নিয়েই বিশেষভাবে চিন্তিত সে ব্যাপারে সংসদে সরব হন অমিত শাহ। সন্ত্রাস হামলায় 'জিরো টলারেন্স নীতি' প্রসঙ্গে অমিত শাহের সাফ বক্তব্য, "কাশ্মীরে যারা ভারতবিরোধী মনোভাব বজায় রাখে, তারা আমাদের ভীত করে রাখে। আমরা 'টুকরে টুকরে গ্যাং'-এর সদস্য নই। আমার বিশ্বাস, আমরা কাশ্মীরের জনগণের মন জিতে নেবই"। তবে আগামী দিনে শুধু কাশ্মীর নয়, সারা ভারতের মন কতটা জয় করতে পারে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেদিকেই তাকিয়ে ভারতবাসী।
Read the full story in English