শীঘ্রই নতুন জাতীয় দল গঠন করতে চলেছেন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির (টিআরএস) নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও। রাজনৈতিক জগতে কেসিআর নামে পরিচিত এই নেতা জানিয়েছেন, বর্তমানে ওই জাতীয় দলের নীতি প্রণয়নের কাজ চলছে। তাঁর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে টিআরএস প্রধান বলেছেন, ''তেলেঙ্গানায় আন্দোলন শুরুর আগে আমরা যেমনটা করেছিলাম, এবারও তা-ই করব। বুদ্ধিজীবী, অর্থনীতিবিদ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আর, তারই ভিত্তিতে বিকল্প জাতীয় এজেন্ডা তৈরির কাজ চলছে।''
কেসিআর জানিয়েছেন, তিনি জাতীয় রাজনীতিতে বৃহত্তর ভূমিকার দিকে নজর দিচ্ছেন। এই বৃহত্তর ভূমিকা পালন করতে গিয়ে সমমনস্ক আঞ্চলিক দলগুলোর সমর্থন পেতে চান। রবিবার বিকেলে তিনি কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং জনতা দল (সেকুলার)-এর নেতা এইচ ডি কুমারস্বামীর সঙ্গে বৈঠক করেন হায়দরাবাদে। এর আগে মে মাসে বেঙ্গালুরুতে তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। সূত্রের খবর, রবিবার মধ্যাহ্নভোজের পর দুই নেতার মধ্যে জাতীয় রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতি এবং অন্যান্য বিষয়ে বৈঠক হয়েছে।
গত মাসেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে পাটনায় বৈঠক করেছিলেন কেসিআর। জেডি (ইউ) সুপ্রিমো নীতীশের সঙ্গে মিলে "বিজেপি-মুক্ত ভারত"-গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। মে মাসে, তিনি বেঙ্গালুরু ছাড়াও দিল্লি এবং চণ্ডীগড় সফরেও গিয়েছিলেন। আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে তাঁর আলোচনার বিষয়বস্ত, কংগ্রেসকে ফেডারেল জোট থেকে দূরে রাখা। একদিকে বিজেপি, অন্যদিকে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিকল্প রাজনৈতিক জোট তৈরি করা।
আরও পড়ুন- রাজভক্ত ব্রিটেনবাসী আগেই এমনটা দেখতে চেয়েছিলেন, শেষে রানির মৃত্যু জুড়ল ভাঙা রাজপরিবার
টিআরএস নেতাদের দাবি, বেশ কয়েকজন আঞ্চলিক নেতা কেসিআরের প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছেন। তবে, এখনও আরও আলোচনা বাকি আছে। কেসিআর বাম দল, সুশীল সমাজ এবং বুদ্ধিজীবীদেরও সমর্থন চাইছেন। গত সপ্তাহেই তিনি তেলেঙ্গানা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তামিনিনি বীরভদ্রম, প্রাক্তন বিধায়ক জুলাকান্তি রঙ্গারেড্ডি এবং সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য চেরুপল্লি সীতারামুলুর সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রায় একঘণ্টা ধরে তাঁদের মধ্যে আলোচনা চলে।
Read full story in English