মমতা সরকার আগেই জানিয়েছিল বাংলায় কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না। এবার একই কথা ঘোষণা করল কেরালার বাম সরকার। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সরকার শুক্রবারই স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, কেরালায় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আটকে রাখতে কোনও ডিটেশন ক্যাম্প তৈরি হচ্ছে না। এমনকী, এর আগে কংগ্রেস আমলে রাজ্যে যে ক্যাম্পটি নির্মাণের জন্য ছাড়পত্র পেয়েছিল সেটির কাজও স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে রাজ্যে এনপিআর ও এনআরসি লাগু করা হবে না বলে জানিয়েছে এলডিএফ সরকার।
ভারতজুড়ে চলা সিএএ-এনআরসি প্রতিবাদ চলছে। সময় যত এগোচ্ছে আন্দোলন আরও তীব্র হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে এনআরসি লাগু হবে না বলে আগেই ঘোষণা করেছিলেন বিজয়ন সরকার। এবার মোদী বিরোধিতাকে তীব্র করে এলডিএফ সরকার জানিয়ে দিল রাজ্যে কোনও ডিটেশন ক্যাম্প হবে না।
আরও পড়ুন: বাংলার পর কেরালায় বন্ধ হল ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রারের কাজ
মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের দেওয়া তথ্যানুশারে, ২০১২ সালে কেন্দ্রের তৎকালীন ইউপিএ-২ সরকার রাজ্যকে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, মেয়াদ উত্তীর্ণ ভিসায় এদেশে বসবাসকারী বিদেশি ও আইনি জটে আটকে থাকা বিদেশিদের এই ধরনের ক্যাম্পে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৫ সালে এনডিএ সরকার রাজ্যের ডিজি, এডিজিও কারা দফতরের আইজিকে নিয়ে বৈঠক করে। ২০১৬ সালে ক্যাম্প তৈরির বিষয়টি তত্ত্বাবধানের জন্য রাজ্যের সামাজিক ন্যায় দফতরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সিএমও ২০১৬-র ফেব্রুয়ারিতে ক্যাম্প নির্মাণের জন্য তৎপর হয়। সামাজিক ন্যায় দফতরকে পরিকল্পনার কথা জমা দিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: ‘আমি যতদিন জীবিত আছি, বাংলায় সিএএ-ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না’
তবে, এরপর আর কাজ এগোয়নি। কেন্দ্র তাগাদা দিলেও তা কার্যত এড়িয়ে গিয়েছে কেরালা সরকার। এরই মধ্যে ২০১৬ সালের মে মাসে রাজ্যের ক্ষমতায় আসে বিজয়ন সরকার। এলডিএফ সরকার কেন্দ্রকে জানিয়েছে, বর্তমানে কোনও মন্ত্রীই ক্যাম্প সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখেনি। ফলে ডিটেনশন ক্যাম্প সংক্রান্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
গত রবিবার দিল্লির সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন দেশে কোনও ডিটেশন ক্য়াম্পের ছাড়পত্র তাঁর সরকার দেয়নি। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রদানমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করলেও জানিয়েছেন আসামে ডিটেনশন ক্যাম্প রয়েছে। তবে সেটি এনআরসি তালিকাভূক্তদের জন্য নয়। শুক্রবার তৃণমূল নেত্রীর তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি যতদিন জীবিত আছি, বাংলায় সিএএ করতে দেব না। কাউকে এই রাজ্য বা দেশ ছেড়ে বাইরে যেতে হবে না। এমনকী বাংলায় কোনও ডিটেনশন ক্যাম্পও হবে না।'
Read the full story in English