রাজ্যপালের পদে থাকা কালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছে একাধিকবার। বিদায়বেলায় রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন কেশরী নাথ ত্রিপাঠী। মমতা সরকারের তোষণ নীতি রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষতি করছে বলে এক সাক্ষাৎকারে পিটিআইকে জানিয়েছেন বিদায়ী রাজ্যপাল।
তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য ত্রিপাঠীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেছে, "বিজেপিকে খুশি করা চেষ্টায় এসব বলেছেন তিনি"। অন্যদিকে ত্রিপাঠী বলেছেন তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
কেশরীনাথ জানিয়েছেন, "আমার বক্তব্যের ব্যাখ্যা করা হচ্ছে ভুল ভাবে। রাজ্যের বাস্তব পরিস্থিতিটা তুলে ধরতে লজ্জা কেন পাব? আমি ওনার (মমতার) প্রশংসাও করেছি"।
আরও পড়ুন, রাজ্যের ভাঁড়ারে টাকা নেই, সরব মমতা
ত্রিপাঠীর পদে আগামী ৩০ জুলাই বসতে চলেছেন জগদীপ ধঙ্কর।
পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ত্রিপাঠী বলেন, "তাঁর তোষণ নীতি সামাজিক সম্প্রীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আমি মনে করি ওনার উচিত বৈষম্য দূর করে সব নাগরিককে সমান চোখে দেখা।আপাত ভাবে বৈষম্য রয়েছে। তাঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) মন্তব্যেই সেই বৈষম্য চোখে পড়ে। "
পিটিআইকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে কেশরীনাথ আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। তাঁর সেই পরিকল্পনা বাস্তবে প্রয়োগ করার ক্ষমতাও আছে। তবে তিনি কখনও কখনও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এই আবেগ তাঁকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।’’
আর পড়ুন, বিধানসভা নির্বাচনে একজোটে লড়বে বাম-কংগ্রেস, দাবি সোমেনের
কেশরীনাথের এ হেন বিস্ফোরক মন্তব্য নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেশরীনাথকে পাল্টা নিশানা করে বলেন, "সাধারণত আমি রাজ্যপালের বিবৃতি নিয়ে কিছু বলি না। উনি কখনও কখনও আমাদের সুপরামর্শও দিয়েছেন। কিন্তু আগে তিনি কখনও বলেননি, পশ্চিমবঙ্গে তোষণের রাজনীতি চলছে। পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। তা হলে এ ধরনের কথা ঠিক যাওয়ার আগে কী কারণে বললেন উনি? সন্দেহ রয়েছে। আসলে বিজেপিকে খুশি করার চেষ্টা করছেন কেশরীনাথ। রাজভবন যে বিজেপির পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে, আমরা আগেই বলতাম, এই বক্তব্যেই সেটা পরিষ্কার হয়ে গেল।’’
Read the full story in English