খেলা হবে। এখন তো রোজ দিন খেলা হবে, খেলা হবে বলে শোর মাতাচ্ছেন রাজনীতিকরা। শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন পজিশনে খেলবেন তাও জানিয়ে দিলেন। তাঁর কথায় স্পষ্ট, গোল তিনি হতে দেবেন না। তিনি খেলবেন গোলরক্ষকের ভূমিকায়। এদিকে রাজ্যে চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাঁরা তো ব্যাট হাতেই ময়দানে নেমে পড়েছেন।
ভোট এলে প্রতিবারই নতুন স্লোগান নিয়ে ময়দানে নেমে পড়ে রাজনৈতিক দলগুলো। এছাড়া সারা বছর নানা ধরনের প্রচার অভিযান চলতেই থাকে। এখনও পর্যন্ত ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে সুপারহিট স্লোগান-খেলা হবে। তা নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ নেই। এটাই একমাত্র স্লোগান যা ডান-বাম প্রতিটি রাজনৈতিক দল হাতিয়ার করেছে। যার কারণে কানে বাজছে এই স্লোগান। মিছিলে ডিজে বাজিয়েও চলছে খেলা হবে। এই গানের তালে নাচতেও দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের।
প্রশ্ন উঠেছে কীসের খেলা হবে? ভোটের ময়দানে এই স্লোগানের হাজারও ব্যাখ্যা দিচ্ছেন রাজনৈতিক নেতৃত্ব। নানা অন্তর্নিহিত অর্থ বলছেন কেউ কেউ। কারও মতে রাজনীতি কী ছেলেখেলার জিনিস যে খেলা হবে, খেলা হবে স্লোগান চলছে। কেউ প্রশ্ন তুলেছেন মারদাঙ্গা করে ভোট করে জিতবেন, সেটাই কি খেলা? মোদ্দা কথা খেলা নিয়ে সরগরম বাংলার ভোট রাজনীতি। তাতে পিছিয়ে নেই কোনও পক্ষ। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও গোলরক্ষকের ভূমিকায় খেলে হুঁশিয়ার করেছেন কে হারা কে জেতে দেখি।
খেলা চলছে এরই মধ্যে ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছেন আধা সামরিক বাহিনী। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল কলেজে তাঁরা ঘাঁটি গেরেছেন। অভিজ্ঞ মহলের মতে, রাজনৈতিক দলগুলো যদি ভোট ময়দানে খেলার পক্ষ-বিপক্ষ হয় তাহলে রেফারি নির্বাচন কমিশন। আর নির্বাচন কমিশনের খেলা পরিচালনার দায়িত্ব সামলাবেন আধা সামরিক বাহিনী। যাঁরা ভোট ময়দানে সরাসরি যুক্ত থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে স্থানীয় স্তরে এঁদেরকেও সন্তুষ্ট করতেও তৎপর হয়ে ওঠে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তাতে কতটা কাজ হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোট ময়দান ওৎরাতে এত খেলাই চলে যার কোনও হিসেব থাকে না। বহু খেলা তো প্রকাশ্যেই আসে না পর্দার আড়ালেই থেকে যায়।
আরও পড়ুন- “ধমকানি, চমকানি বা জেলের ভয় দেখাবেন না!”, সিবিআই নোটিস দিতেই কি সরব
এদিকে আধা সামরিক বাহিনী রাজ্যে আসতেই খেলার উন্মাদনা বেড়েছে। এরই মধ্যে দেখা গেল সশস্ত্র বাহিনীর এক জওয়ান ব্যাট হাতে ময়দানে নেমে পড়েছেন। যদিও এই ব্যাটসম্যানের সঙ্গে নেতাদের খেলা হবের কোনও সম্পর্ক রয়েছে এমন দাবি কেউ করছেনও না। কিন্তু আনাড়ি বোলারের ছোড়া বলে ওই জওয়ানের দল চার মারবেন না ছয় হাঁকাবেন তা বোঝা যাবে সময় এলেই। এপ্রিল-মে-তে খেলা দেখার অপেক্ষায় বঙ্গবাসী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকু