বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে আজ কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন এইচ ডি কুমারস্বামী। আনুষ্ঠানিকভাবে কর্ণাটকের সরকার গড়তে চলেছে কংগ্রেস-জে ডি (এস) জোট। মোট ৩৪ জন মন্ত্রী থাকছেন কুমারস্বামীর মন্ত্রিসভায়। এর মধ্যে ২২ জন কংগ্রেসের এবং ১২ জন জে ডি (এস)-এর। জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষমেষ রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন কংগ্রেসের দলিত নেতা জি পরমেশ্বর, যাঁর উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বিষয়ে প্রথম থেকেই চর্চা চলছিল। অন্যদিকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি বিধানসভার নতুন অধ্যক্ষও হচ্ছেন আরেক কংগ্রেস নেতা, কে আর রমেশ।
আরও পড়ুন, কর্নাটক সরকার নিয়ে হিন্দু মহাসভার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
কুমারস্বামীর শপথ অনুষ্ঠানে কার্যত অ-বিজেপি জোটের ছবিই যে প্রকট হবে তা নিমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকা দেখলেই বোঝা যায়। কর্ণাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তর প্রদেশের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী এবং অখিলেশ যাদব, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, এবং অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। অন্যদিকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না বলে মঙ্গলবার ফোন করে এইচ ডি দেবগৌড়া ও কুমারস্বামীকে অভিনন্দন জানান তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও।
আগামী ২৪ মে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে কুমারস্বামীদের। আস্থা ভোটের পরই বাকি মন্ত্রীদের দফতর ঠিক করা হবে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন, কর্নাটকের কুর্সিতে বসতে চলেছে কংগ্রেস-জেডি (এস)
প্রসঙ্গত, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কুমারস্বামীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় হিন্দু মহাসভা। কুমারস্বামীকে সরকার গড়তে রাজ্যপালের ডাকা সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সোমবার দ্রুত শুনানির আর্জি জানায়। কংগ্রেস ও জে ডি (এস) জোটকে অসাংবিধানিক বলে বর্ণনা করা হয় তাদের আবেদনপত্রে। মঙ্গলবার হিন্দু মহাসভার দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন, Karnataka Assembly: আস্থা ভোটের আগে ইস্তফা দিলেন ইয়েদুরাপ্পা
এর আগে, কর্ণাটকের ২২৪টি আসনের মধ্যে মোট ২২২টি আসনে ভোট হয়। ফল প্রকাশের পর ১০৪টি আসন জিতে একক বৃহত্তম দল হিসেবে সরকার গড়ার দাবি জানায় বিজেপি। এদিকে ভোটের ফল প্রকাশের পর জে ডি (এস)-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবি জানিয়ে সরকার গড়তে মরিয়া হয়ে ওঠে কংগ্রেস। শেষ পর্যন্ত বিজেপির বি এস ইয়েদুরাপ্পাকেই সরকার গড়তে ডাকেন রাজ্যপাল, যা নিয়ে কর্ণাটকের রাজনীতি নয়া মোড় নেয়। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথও নেন ইয়েদুরাপ্পা। এ ঘটনার পরই সুপ্রিম কোর্টে যায় কংগ্রেস-জে ডি (এস)। আদালতের নির্দেশে আস্থা ভোট হয় শনিবার, যেখানে সংখ্যা জোগাড় করতে না পারার জেরে কার্যত আত্মসমর্পণের ঢঙে ইস্তফা দেন ইয়েদুরাপ্পা।