Advertisment

ত্রিপুরা সরকারের ছুটির তালিকা থেকে বাদ মে দিবস, সমালোচনায় মুখর বিরোধীরা

এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মে দিবস-সহ মোট ১২টি 'উৎসবকে' সংরক্ষিত ছুটির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারিরা এ বছর এই ১২টির মধ্যে যেকোনও ৪টি ছুটি নিতে পারবেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

১৯৭৮ সালে নৃপেন চক্রবর্ত্তীর নেতৃত্বে ত্রিপুরার প্রথম বামফ্রন্ট সরকারের আমল থেকেই মে দিবসকে ছুটির আওতায় আনা হয়েছিল।

লেনিন মূর্তি ভাঙা পড়েছে আগেই। কার্ল মার্কসের নামের রাস্তার নামও বদলেছে বেশ কয়েক মাস হল। এবার বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় কোপ পড়ল মে দিবসের (আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস) সরকারি ছুটির উপর। বিপ্লব দেবের সরকারের এমন সিদ্ধান্তে প্রত্যাশিতভাবেই সমালোচনায় মুখর হয়েছে সে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি।

Advertisment

ত্রিপুরা সরকারের আন্ডার সেক্রেটারি পদমর্যাদার আধিকারিক এস.কে. দেববর্মার জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মে দিবস-সহ মোট ১২টি 'উৎসবকে' সংরক্ষিত ছুটির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকারি কর্মচারিরা এ বছর এই ১২টির মধ্যে যেকোনও ৪টি ছুটি নিতে পারবেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে নৃপেন চক্রবর্ত্তীর নেতৃত্বে ত্রিপুরার প্রথম বামফ্রন্ট সরকারের আমল থেকেই মে দিবসকে ছুটির আওতায় আনা হয়েছিল।

আরও পড়ুন- বেকারত্ব ঘোচাতে বিপ্লব দেবের গরু দান

ত্রিপুরার প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে এ বিষয়ে ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, "এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ রূপে শ্রমিক শ্রেণি বিরোধী। এর থেকেই বোঝা যায়, বিজেপি শ্রমিকদের ঠিক কোন চোখে দেখে। শ্রমিকদের মুক্তির উদযাপন হিসাবে বিশ্ব জুড়ে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করা হয়। আমি কখনও শুনিন যে দেশের কোনও রাজ্য এভাবে মে দিবসের ছুটি বাতিল করা হয়েছে"। রাজ্যের বিজেপি সরকারকে মে দিবসের ছুটি বাধ্যতামুলকভাবে ফিরিয়ে আনতে হবে বলে দাবি করেছেন ত্রিপুরা সিপিআই (এম)-এর সম্পাদক হরিপদ দাস। তাঁর তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, এই (ছুটিতে কোপ) পদক্ষেপ শ্রমিক শ্রেণির স্বার্থে আঘাত করবে। কারণ, শ্রমিকদের তীব্র ও কঠিন সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জন করা অধিকারের উদযাপন হয় মে দিবসে।

আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘অ্যানাকোন্ডা’ বললেন অন্ধ্রপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী

ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি তাপস দের অভিযোগ, বিজেপি কর্পোরেট সংস্থাগুলির স্বার্থ সুর্কষিত করতেই ব্যস্ত। ফলে, শ্রেমিক শ্রেণির কথা তাদের কাছে গুরুত্বহীন। আর রাজ্যের বিজেপি-আইপিএফটি সরকারও গেরুয়া শিবিরের সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলছে। মে দিবস কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পত্তি নয় বলে মন্তব্য করেন তাপস দে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারি সংগঠনের (টিজিইএ) সম্পাদক সমর রায়। তিনি বলেন, "সরকারের এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করছি এবং এই সিদ্ধান্ত আমরা কিছুতেই মানব না"।

Read the full story in English

tripura CM may day tripura
Advertisment