আগামী ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যসভা ভোটে কী দেখা যাবে বাম কংগ্রেস জোট। রাজ্যের তিন বিধানসভায় জোট গড়ে লড়াই করছে এই দুই শিবির। সেই জোটের ভিত্তিতেই রাজ্যসভা ভোটে বাম কংগ্রেস সমঝোতার জল্পনা শুরু হয়েছে। যা বাস্তবায়িত হলে বঙ্গ রাজনীতিতে প্রথমবার রাজ্যসভা ভোটে একসঙ্গে প্রার্থী দিতে দেখা যাবে তাদের।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলা থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত ছয় সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অঙ্কের হিসাবে বাংলা থেকে প্রথম পছন্দের প্রার্থী হয়ে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হতে প্রয়োজন ৪৯ ভোটের। বিধানসভায় বিভিন্ন দলের আসন সংখ্যার নিরিখে ছয়টির মধ্যে পাঁচটি আসনেই জয় পাবেন শাসক দলের প্রার্থীরা। একটি আসনে ভোটাভুটি হওয়ার সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: ‘আমার ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে’, পেগাসাস হানার মধ্যেই বিস্ফোরক মমতা
২০১৪ সালে সিপিএমের ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বাম প্রার্থী হয়ে রাজ্যসভার সাংসদ হন। দু'বছর আগে তাঁকে বহিষ্কার করে দল। এবার তাঁর সেই আসনেই ভোটাভুটি হতে পারে। সিপিএম মনে করছে এক্ষেত্রে ওই আসনে তাদের সমর্থন করবে কংগ্রেস। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিধানসভায় বামেদের বিধায়ক সংখ্যা ৩০। কংগ্রেসের হাতে আছে ৪০ বিধায়ক। দু'পক্ষ একজোট হয়ে প্রার্থী দিলে ওই আসনে জয় প্রায় নিশ্চিত। আলিমুদ্দিনের অন্দরের খবর, রাজ্যসভা ভোটে কংগ্রেসকে জোটের প্রস্তাব দিতে পারে সিপিএম।
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলে প্রাণের আশঙ্কা রয়েছে বলেই শোভনের নিরাপত্তা ফেরত’
বামফ্রন্টের বড় শরিকের এক শীর্ষ নেতার কথায়, 'এখনও এই ধরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। তবে দলের অন্দরে কথা চলছে। কংগ্রেসের প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।' তাঁর সংযোজন, 'আমরা উপনির্বাচনে তিনটির মধ্যে দুটি আসনে কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থন করছি। এরাজ্যের তরফে রাজ্যসভার ষষ্ঠ আসনটি বামেদেরই ছিল। ফলে আশা করছি ওই আসনে কংগ্রেসের সমর্থন মিলবে।' রাজ্যসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী জয় পেলে রাজ্যের দ্বিতীয় শক্তি হিসাবে উঠে আসা বিজেপিকে যেমন বার্তা দেওয়া যাবে, তেমনই ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তার সুফল মিলতে পারে বলে মনে করছে বাম নেতৃত্ব।
তবে, কংগ্রেস কী বামেদের প্রস্তাবে রাজি হবে? গুঞ্জন, খড়গপুরের আসনটিতে তৃণমূলকে সমর্থনের আর্জি জানিয়ে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে চিঠি দেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। যিনি নিজেই বাম কংগ্রেস জোটের অন্যতম প্রবক্তা। সূত্রের খবর, রাজ্যসভায় যাওয়ার জন্যই মান্নানের এই কৌশল। যদি তাই হয়, তবে রাজ্যসভা ভোটে বাম কংগ্রেস জোটের পথে কাঁটা হতে পারেন হাত শিবিরের এই বিধায়ক। তবে, তিনি নিজে বলছেন, সোনিয়া গান্ধীকে কোনও চিঠিই তিনি দেননি। তার প্রমাণও কারোর কাছে নেই।
Read the full story in English