Advertisment

পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে কাল-পরশু কালা দিবসের ডাক বাম ছাত্র-যুবদের

‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগুন নিয়ে খেলছেন। ছাত্র-যুব যখন কাজের দাবিতে পথে নেমেছে, তাঁদের আটকে লাঠিপেটা করা হয়েছে, ঠিল মারা হয়েছে’’।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
left, বাম

বাম ছাত্র-যুবদের মিছিল। ছবি: টুইটার।

বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযানে ‘হামলার’ প্রতিবাদে সোচ্চার বামেরা। কাল ও পরশু রাজ্যজুড়ে কালা দিবসের ডাক দিয়েছে বাম ছাত্র-যুব সংগঠন। শনিবার রাজ্যজুড়ে বামফ্রন্টের তরফে প্রতিবাদ কর্মসূচি করা হবে বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। পাশাপাশি এ ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে সেলিম বললেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগুন নিয়ে খেলছেন’’। উল্লেখ্য, শিল্প ও চাকরির দাবিতে সিঙ্গুর থেকে নবান্ন অভিযান করে ১২টি বাম ছাত্র ও যুব সংগঠন। শুক্রবার হাওড়ার মল্লিকফটকে বাম ছাত্র-যুবদের মিছিল আটকায় পুলিশ। এরপরই কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাম কর্মীদের অভিযোগ, ‘‘পুলিশ ও তৃণমূলের গুন্ডারা বোমাবাজি করেছে। শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ লাঠি চালিয়েছে। বহিরাগতরা এসে ঢিল ছুড়েছে’’। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন বাম কর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisment

আরও পড়ুন: কোথায় রাজীব কুমার? কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে তলবি নোটিস সিবিআইয়ের

এদিন এ প্রসঙ্গে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিক বৈঠকে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গণতান্ত্রিক কাঠামোয় মিছিল করার অধিকার রয়েছে। নবান্নকে কেল্লা বানিয়ে রেখেছেন, এত ভয়! দিদিকে বলতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল। ছাত্র যুবদের সঙ্গে দেখা করার মুখ যদি না থেকে থাকে তাহলে প্রতিনিধি রাখতে পারতেন। পুলিশ দিয়ে কমরেডদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। বাংলার ছাত্র-যুবদের রক্তের হিসেব দিতে হবে এই অপদার্থ সরকারকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগুন নিয়ে খেলছেন। ছাত্র-যুব যখন কাজের দাবিতে পথে নেমেছেন, তাঁদের আটকে লাঠিপেটা করা হয়েছে, ঢিল মারা হয়েছে’’।

আরও পড়ুন: দশ হাজার টাকার কম বেতনের চাকরি খোয়ানো সাংবাদিকদের দশ হাজার টাকা অর্থ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি মমতার

ঠিক কী হয়েছে?

বামেদের নবান্ন অভিযান ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। হাওড়ার মল্লিকফটকে বাম ছাত্র যুব কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক ধস্তাধস্তি বাধে। লাঠি উঁচিয়ে বাম ছাত্র-যুব কর্মী -সমর্থকদের মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের সদস্যরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ার অভিযোগ বাম ছাত্র যুব কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ, জলকামানও ব্যবহার করে পুলিশ। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ পুলিশের। লাঠির ঘায়ে কয়েকজন আন্দোলনকারী জখম হয়েছেন বলে খবর। কয়েকজন পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। বেশ কয়েকজন বাম কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

left front
Advertisment