সমকামিতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের যুগান্তকারী রায়ের পর এবার এলজিবিটিকিউ কমিউনিটির জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিল এসএফআই। এলজিবিটিকিউ কমিউনিটির কথা মাথায় রেখে এবার কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এগোল এসএফআই। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সমকামিতা নিয়ে মেগা কনভেনশন, সচেতনতামূলক প্রচার করার উদ্যোগ নিয়েছে বাম ছাত্র পরিষদ। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে পড়ুয়াদের বাবা-মায়েদের কাাউন্সেলিং করারও উদ্যোগ নেবে তারা।
এ প্রসঙ্গে এসএফআই-এর রাজ্য কমিটির সদস্য অপ্রতীম রায় বলেন, "এলজিবিটিকিউ কমিউনিটির কোনও সদস্য যদি হেনস্থার শিকার হন ক্যাম্পাসে, তবে তাঁদের বলছি আমাদের কাছে আসুন। আমরা সাহায্য করব। এমনকি, বাড়িতে যদি কোনও পড়ুয়া সমস্যার মুখোমুখি হন, তবে তাঁদের বাবা-মায়েরও কাউন্সেলিং করাব। যদি কোনও পড়ুয়া আইনি সাহায্য চান, তাও করব আমরা।" তিনি আরও বলেন যে, কেউ যদি এ ব্যাপারে তাঁর পরিচয় জানাতে না চান, তবে সেই গোপনীয়তা বজায় রাখা হবে। অপ্রতীম আরও বলেন যে, বহু ঘটনা রয়েছে, যেখানে এই কমিউনিটির সদস্যরা হেনস্থার শিকার হয়েছেন। এমনকী, তাঁদের পরিবারের লোকেরাও তাঁদের বিরুদ্ধে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সমকামী মহিলাকে তাঁর সঙ্গিনীর সঙ্গে থাকার অনুমতি দিল কেরালার উচ্চ আদালত
এমন উদ্যোগ সম্পর্কে এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা ইতিমধ্যেই এ নিয়ে একটা কনভেনশন করেছিলাম। এলজিবিটিকিউ-এর অনেকেই এতে অংশ নিয়েছেন। আমরা ওঁদের জন্য আলাদা করে কোনও শাখা খুলছি না।" এ প্রসঙ্গে এসএফআইয়ের অল ইন্ডিয়া জয়েন্ট সেক্রেটারি ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, "সম্প্রতি যে কনভেনশন হয়েছিল, সেখানে অনেকেই তাঁদের মতামত, কথা জানিয়েছেন। কয়েকজন বিজেপি নেতা তো বলেছেন এটা রোগ। আমরা এসব মতাদর্শের বিরুদ্ধে লড়ব।"
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে কেরালা এসএফআই তাদের সদস্যপদের তালিকায় 'অন্য লিঙ্গ' অপশন রাখে। পরে তৃতীয় লিঙ্গের পড়ুয়াদের সদস্যপদের জন্য আলাদা প্রচার চালানো হয়। ইতিমধ্যেই সে রাজ্যের ত্রিশূরে এসএফআইয়ের জেলা কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এলজিবিটিকিউ কমিউনিটির এক সদস্য। এসএফআইয়ের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ভর্তা ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা পবন ঢাল।
Read the full story here in English