হাইপ্রোফাইল উপনির্বাচন। আজই ভবানীপুরের প্রচারের শেষ দিন। কিন্তু, শেষ দিনেও প্রচার ঘিরে বিতর্ক বাঁধল। উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। সোমবার শেষ দিন ৮০ জন নেতাকে ভবানীপুরে প্রচারে নামিয়ে চমক দেওয়ার ঘষণা করে বিজেপি। সেই মতো এদিন শম্ভূনাথ পণ্ডিত রোডে প্রচারে যান ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। কিন্ত সেখানে সাংসদ পৌঁছতেই বিপত্তি। তাঁকে ঘিরে ধরে 'বহিরাগত হুঁশিয়ার', 'গো ব্য়াক' স্লোগান দেন স্থানীয়রা। রক্ষী পরিবেষ্টিত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় দোর্দদণ্ডপ্রতাপ পদ্ম সাংসদকে।
বিক্ষোভের জেরে শেষ পর্যন্ত শম্ভূনাথ পণ্ডিত রোডে প্রচারে যেতে পারেননি অর্জুন সিং। ফিরে যেতে বাধ্য হল তিনি। বিক্ষোভকারীদের দাবি, বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বহিরাগত। কোনও দিন ভবানীপুরে আসেন না। তাই ভোটের সময় প্রচারে তাঁকে মেনে নেওয়া হবে না। এই ঘটনায় এদিন প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়। তবে, অর্জুন সিং এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি।
আরও পড়ুন- এবার মদন মিত্রকে CBI তলব, আইকোর মামলায় আজই হাজিরার নির্দেশ
ভবানীপুরে ভোটে বিজেপির গুরু দায়িত্বে রয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের মনোনয়ন থেকে প্রচার, তৃণমূল ও পুলিশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য কমিশনের কাছে দরবার- সর্বদাই দলের পুরভাগে দেখা গিয়েছে অর্জুন সিংকে।
এমনকী দিনকয়েক আগে মগরাহ পশ্চিমের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী মানস সাহার মৃতদেহ নিয়ে শেষ যাত্রার সময় প্রতিবাদস্বরূপ বিজেপি নেতা, কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও এই শোক মিছিলে ছিলেন অর্জুন সিং, প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালরা। পুলিশ ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী শাসনের অভইযোগ করে গেরুয়া বাহিনী।
অর্জুন সিংয়ের আদগে এদিন পটুয়া পাড়াতে প্রচারে যান বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে প্রচারে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। এর আগে হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে প্রচারে যেতে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিলেন তিনি। পুলিশের দাবি, হাই সিকিউরিটি জোনে কভিডবিধি ভেঙে প্রচার করার সুকান্ত মজুমদারকে আটকানো হয়েছিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন