উনিশের ভোটযুদ্ধের সঙ্গে এবার পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের তুলনা টানলেন অমিত শাহ। শুক্রবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে দলের জাতীয় কনভেনশনে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মোদী সেনাপতি বলেছেন, লোকসভা ভোট খানিকটা পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের মতো, হারলে দাসত্ব ভোগ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, ‘‘পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে আহমেদ শাহ আবদালি মারাঠাদের পরাজিত করেছিলেন। সেই পরাজয় ২০০ বছরের দাসত্ব এনেছিল।’’ এরপরই বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস ২০১৯ সালের যুদ্ধটাও সেরকম হতে চলেছে...২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকারের জয় নিশ্চিত করবে দল, কারণ এই লড়াইটা নির্ণায়ক হবে।’’
এদিন রাম মন্দির ইস্যু নিয়েও সরব হয়েছেন অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, ‘‘বিজেপি রাম মন্দির চায়। মন্দির নির্মাণ করা আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। মন্দির নির্মাণ প্রক্রিয়ায় বাধা তৈরি করছে কংগ্রেস। কিন্তু আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি এ মামলার জট যাতে কাটে। ইতিমধ্যেই এ সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠেছে।’’ রাম মন্দির ইস্যুর পাশাপাশি সংরক্ষণ নিয়ে মোদীর ‘ঐতিহাসিক’ পদক্ষেপের কথাও তুলেছেন শাহ। তাঁর কথায়, ‘‘এক সপ্তাহে ২টি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদীজি... দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সংরক্ষণ বিল।’’
আরও পড়ুন, উনিশের রূপরেখা বানাতে রামলীলা ময়দানে জাতীয় কনভেনশন বিজেপির
বিরোধী জোটকে একহাত নিয়ে মোদী সরকারের এদিন গুণগান করেন শাহ। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সরানো কার্যত অসম্ভব। ১৯৮৭ সাল থেকে মোদী রয়েছেন এবং তাঁর নেতৃত্বে এখনও একটা নির্বাচনেও হারেনি দল।’’ এরপরই বিজেপি সভাপতির মন্তব্য, ‘‘বিজেপি একটা শক্তপোক্ত সরকার চায়। বিরোধীরা চায় অসহায় সরকার।’’ মজবুত সরকার তৈরির জন্য মোদীর কোনও বিকল্প নেই বলেও এদিন গলা হাঁকান শাহ।
উল্লেখ্য, উনিশের লড়াইকে পাখির চোখ করে এগোতেই রাজধানীতে দু’দিনের জাতীয় কনভেনশনের আয়োজন করেছে গেরুয়াবাহিনী। যে কনভেনশনে যোগ দেওয়ার কথা দেশের প্রায় ১২ হাজার বিজেপি নেতার। আজ থেকে ৪ বছর আগে জানুয়ারি মাসেই ওই রামলীলা ময়দানেই জড়ো হয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। সেসময় গেরুয়াশিবিরের প্রধান লক্ষ্য ছিল ইউপিএ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা। ৫ বছর পর লোকসভা ভোটের আগে আবারও সেই রামলীলা ময়দানে পা রাখলেন বিজেপি নেতারা। লক্ষ্য একটাই, কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফের মোদী সরকারের প্রত্যাবর্তন ঘটানো। সম্প্রতি তিন হিন্দি বলয়ে দলের ভরাডুবির পর লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির এমন কনভেনশন রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
Read the full story in English