সোমবার মধ্যপ্রদেশে আস্থা ভোটের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন। শনিবার রাতেই কমলনাথ সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দেন তিনি। সোমবার থেকেই বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, তাঁর ভাষণের পরেই আস্থা ভোট হবে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া স্বাধীন ও পেশাদারকে দিয়ে ভিডিও করা হবে। ওই দিন সভায় আর কোনও কাজ হবে না বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
মধ্যপ্রদেশের কুর্সি দখল ঘিরে নয়া মোড়। রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা কমল নাথের সাক্ষাতের পরই নড়েচড়ে বসে বিজেপি। অবিলম্বে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় আস্থা ভোট করা হোক, শনিবার রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডনের কাছে এমন আর্জিই করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন।
উল্লেখ্য, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ত্যাগের পর থেকেই বেসামাল কমল নাথ সরকার। ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। বিজেপির দাবি, ২২ জন বিধায়কের ইস্তফার জেরে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে কমল নাথ সরকার। ওই ২২ বিধায়কদের প্রলোভন দেখাচ্ছেন কমল নাথ, এমনই অভিযোগ বিজেপির।
আরও পড়ুন: ‘মতাদর্শের থেকে কারও ক্ষমতার লোভ বেশি’, সিন্ধিয়াকে নিশানা দিগ্বীজয়ের
আগামী সোমবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু। তবে বিরোধী দলের দাবি, তার আগে রবিবারই আস্থা ভোট করা হোক। বাজেট অধিবেশনের আগেই সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করুক, এমনটাই দাবি করেছে পদ্মশিবির।
আরও পড়ুন: হাতেই থাকবে মধ্যপ্রদেশ, রাজ্যপালকে আস্থা ভোটের আর্জি প্রত্যয়ী কমলনাথের
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বুধবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘বিধানসভায় আস্থা ভোটে কংগ্রেসের জেতার ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী। দেখবেন, আমরাই বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে সক্ষম হব’’। এরপরই কমল নাথ বলেন, ‘‘২২জন কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে…যদি তাঁরা নিজের ইচ্ছেয় ইস্তফা দিতেন, তাহলে তাঁরা ভোপালে নেই কেন? কেন তাঁদেরকে ভোপাল এসে ইস্তফা দিতে দেওয়া হচ্ছে না? ওঁদেরকে আটকে না রাখলে ওঁরা এখানেই থাকতেন’’।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন