চলতি বছরের শেষের দিকেই সে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ক্ষমতা দখলের লড়াই ঘিরে ইতিমধ্যেই চাপানউতোর পরিস্থিতি তৈরি হল মধ্যপ্রদেশে। কথা ছিল, সে রাজ্যের নতুন সরকারি মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। কিন্তু তার আগেই ফিতে কেটে ফেললেন এক কংগ্রেস সাংসদ। এই কাণ্ডকে ঘিরেই রাজনৈতিক হট্টগোল তৈরি হয়েছে সে রাজ্যে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আগেই সরকারি মেডিক্যাল কলেজ উদ্বোধন করার 'অপরাধে' ওই কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কান্তিলাল ভুরিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক ময়দানে একে অপরকে টেক্কা দিতে গিয়েই আগেভাগে মঙ্গলবার সমর্থকদের সঙ্গে করে রতলাম এলাকার ওই সরকারি মেডিক্যাল কলেজে আসেন ভুরিয়া। শুধু তাই নয়, একজন ব্রাহ্মণ পুরোহিতকেও সঙ্গে করে নিয়ে আসেন ওই সাংসদ। এরপরই রাজ্যের নতুন সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ফিতে কাটেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ওই সাংসদ বলেন, "যেহেতু ইউপিএ সরকারের আমলে ওই প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছিল, তাই মঙ্গলবার শুভদিন বলে উদ্বোধন করি।"
আরও পড়ুন, প্রধানমন্ত্রী “অশিক্ষিত গেঁয়ো”, বললেন কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপম
অন্যদিকে, এ ঘটনা সামনে আসার পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে এলাকার পুলিশ সুপার গৌরব তিওয়ারি বলেন, "কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৪৪, ১৮৮ ও ৪৪৮ ধারায় ওই কংগ্রেস সাংসদ কান্তিলাল ভুরিয়া ও আরও ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।"
এদিকে, বুধবার সরকারি ভাবে নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ীই রাজ্যের ওই নবনির্মিত কলেজের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। নতুন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ গড়তে ৩৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, এটা বড় উপহার এলাকাবাসীর জন্য। তিনি আরও বলেন যে, ১৯৬৪ সালের পর রাজ্যে কোনও মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করা হয়নি। তিনি ক্ষমতায় আসার পর সাগর এলাকায় মেডিক্যাল কলেজ গড়া হয়। আর তার পাঁচ বছর পর রতলাম এলাকায় তৈরি করা হল মেডিক্যাল কলেজ। মধ্য প্রদেশে এই মুহূর্তে ১৭টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে, যার মধ্যে ১১টি সরকারি।