Maharashtra Assembly Elections 2024: সামনেই মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপির নিশানায় মহা বিকাশ আঘাড়ি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের ইস্তেহার প্রকাশ করেছেন। ইস্তেহার প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকের এই নির্বাচনী ইস্তেহার মহারাষ্ট্রের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। এ সময় তিনি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকেও তীব্র নিশানা করেন। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেকে নিশানা করে অমিত শাহ বলেন, ঠাকরে সেই কংগ্রেসকে সমর্থন করেছে যে কংগ্রেসের নেতারা বালাসাহেব ঠাকরে এবং বীর সাভারকারকে অপমান করেছেন।
রাহুল গান্ধীকে চ্যালেঞ্জ
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে কেন্দ্রীয় স্বরাস্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, "আমি উদ্ধব ঠাকরে জিকে জিজ্ঞাসা করতে চাই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে বীর সাভারকারের জন্য দুটি শব্দ বলতে পারবেন? কোনো কংগ্রেস নেতা কি বালা সাহেব ঠাকরের সম্মানে দুটি বাক্য বলতে পাররেব? তিনি আরও বলেছিলেন, "আমি উদ্ধব ঠাকরেকে বলতে চাই যে আপনি কার সঙ্গে থাকবেন তা আপনার উপর নির্ভর করছে। তবে আমি আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে আপনিই যারা ৩৭০-ধারা বিরোধিতা করছেন, রামজন্ম ভূমি এবং ওয়াকফ বোর্ডের বিরোধিতা করছেন "যারা সংস্কারের বিরোধিতা করে তাদের সঙ্গে নিয়ে চলছেন"।
' জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন'
ইস্তেহার প্রকাশ করে অমিত শাহ বলেন, "অনেক যুগ ধরে মহারাষ্ট্র প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। এক সময় যখন প্রয়োজন ছিল, তখন মহারাষ্ট্র থেকে ভক্তি আন্দোলনও শুরু হয়েছিল, দাসত্ব থেকে মুক্তির আন্দোলনও শিবাজী মহারাজ এখান থেকেই শুরু করেছিলেন, সামাজিক বিপ্লবও এখান থেকেই শুরু হয়েছিল এবং মহারাষ্ট্রের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা আমাদের ইস্তেহারে প্রতিফলিত হয়েছে"।
মহা বিকাশ আঘাড়িকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, "আঘাড়ির সমস্ত পরিকল্পনা ক্ষমতার লোভে। মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতির সঙ্গে তারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে বিজেপি যা প্রতিশ্রুতি দেয় তা কেন্দ্রেই হোক অথবা রাজ্যে যখন আমাদের সরকার গঠিত হয়, আমরা আমাদের সিদ্ধান্তগুলি পূরণ করি।
শাহ বলেন, মহারাষ্ট্রের জনগণ কি তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য নির্ধারিত সংরক্ষণের অধিকার মুসলমানদের দেওয়ার পক্ষে? তিনি আরও বলেন, আমাদের সংবিধানে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের কোনো বিধান নেই। তবুও, কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার আগে সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, জনগণকে অনুরোধ এই বিষয়টি বিবেচনা করার।