Bulldozer justice: 'বাড়িঘর ভাঙার ভয় দেখিয়ে জনগণের কণ্ঠস্বরকে দমন করা যাবে না'। অবসরের আগে শেষ রায় দিলেন সিজেআই ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আইনের শাসনে 'বুলডোজার ন্যায়বিচার' সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির। 'বুলডোজার দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত' করা কোনও সভ্য বিচার ব্যবস্থার অংশ হতে পারে না। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে এমনটাই উল্লেখ করেছে।
'বুলডোজার জাস্টিস' প্রবণতার তীব্র নিন্দা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলেছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার নামে বুলডোজার নীতি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সুপ্রিম কোর্ট জোর দিয়ে বলেছে, 'নাগরিকদের সম্পত্তি ও বাড়িঘর ধ্বংস করার হুমকি দিয়ে তাদের কণ্ঠস্বরকে কোন ভাবেই দমন করা যাবে না। একজন মানুষের শেষ সম্বল তার বাড়ি।
ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসাবে অবসর নেওয়ার আগে তাঁর শেষ রায়ে, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, যে সম্পত্তি ধ্বংসের হুমকি দিয়ে নাগরিকদের কণ্ঠস্বর রোধ করা উচিত নয় এবং তিনি জোর দিয়ে বলেন, জনসাধারণের বাড়ি-ঘরের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। রাজ্য এই নিয়ম মানতে বাধ্য। কোনও বেআইনি নির্মাণ বা জমি দখলের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই পদক্ষেপ করতে হবে।'বুলডোজার ন্যায়বিচার' অগ্রহণযোগ্য"।
ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁর শেষ রায়ে 'প্রতিশোধের একটি মাধ্যম' হিসাবে বুলডোজার নীতির বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন এবং এই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের এবিষয়ে জবাবদিহি করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর পর্যবেক্ষণ বেআইনি 'বুলডোজার ন্যায়বিচার' শাস্তিমূলক আচরণের অধীন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, একজন নাগরিকের বাড়ি ঘরের নিরাপত্তা মৌলিক অধিকার যা অবশ্যই রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে হবে। 'বুলডোজারের মাধ্যমে বিচার কোন সভ্য আইনশাস্ত্রের কাছে অজানা। ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জে একটি বাড়ি ভেঙে ফেলা সংক্রান্ত একটি মামলার রায়ে প্রধান বিচারপতি এই নির্দেশ দেন। এই ধরণের পদক্ষেপ কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারী আচরণের মনোভাব পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের। রবিবার সিজেআই চন্দ্রচূড় অবসর নেওয়ার আগে মামলার বিশদ রায় শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়। যাতে বলা হয়েছে বুলডোজার দিয়ে বিচারের হুমকি দিয়ে নাগরিকদের কণ্ঠকে দমন করা যাবে না।
২০১৯ সালে উত্তর প্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলায় একটি বাড়ি ভাঙার মামলায় শীর্ষ আদালত ৬ নভেম্বর তার রায় দেয়। বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশ সরকারকে অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা হিসাবে আবেদনকারীকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। একটি রাস্তা নির্মাণের জন্য তাঁর বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়।