৯ দিনের টান-টান, রুদ্ধশ্বাস নাটকের পর যবনিকা পতন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। গতকাল রাতে আস্থা ভোট মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পরই ফেসবুক লাইভ করে কুর্সি এবং বিধান পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন উদ্ধব। তার পর নিজে গাড়ি চালিয়ে দুই ছেলেকে নিয়ে রাজভবনে যান উদ্ধব। সেখানে রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারিকে নিজের ইস্তফাপত্র দেন তিনি।
উদ্ধব ইস্তফা দেওয়ায় মহারাষ্ট্রে ৩১ মাসের মহা বিকাশ আঘাড়ি সরকারের পতন হয়েছে। আস্থা ভোটে জেতে চাননি উদ্ধব। দলের সিংহভাগ বিধায়ক বিদ্রোহ করার জেরে বিধানসভায় গরিষ্ঠতা প্রমাণ করা অসম্ভব ছিল তাঁর কাছে। তা বুঝেই আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। কিন্তু অপর দুই জোটসঙ্গী এই সিদ্ধান্তে একদমই খুশি নয়।
এনসিপি এবং কংগ্রেস এখন কী করবে সেটাই বড় প্রশ্ন। সরকারে তাঁরা আর নেই, যদি না একক বৃহত্তম দল তাঁদের সঙ্গে জোট করে। বাইরে থেকে তারা সমর্থন করবে না কি বিরোধী দলের ভূমিকা থাকবে সেটাই বড় প্রশ্ন। এনসিপি এবং কংগ্রেস আলাদা আলাদা ভাবে নিজেদের পরিষদীয় দলের বৈঠক করবে। পরবর্তী রণনীতি কী হবে তা ঠিক হবে বৈঠকে।
আরও পড়ুন সরকার গড়ার দাবি, ফড়নবিশকে সঙ্গে নিয়েই রাজভবনে যাচ্ছেন শিণ্ডে
কংগ্রেস প্রদেশ সভাপতি নানা পাটোলে বলেছেন, পরিষদীয় দল বৈঠক করছে। আমরা এখন বিরোধী এবং সেই ভূমিকা শক্ত ভাবে পালন করব। তিনি আরও যোগ করেছেন, কংগ্রেস আসন্ন পুরভোট নিয়েও রণকৌশল ঠিক করেছে বৈঠকে।
এদিকে, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ারও মুম্বইয়ে পরিষদীয় দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বুধবার দলের রাজ্য সভাপতি জয়ন্ত পাটিল বলেছেন, মহা বিকাশ সরকার সুশাসনের উদাহরণ দিয়েছে। উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে সরকার ভাল ভাল কাজ করেছে। করোনা অতিমারির মধ্যেও প্রশংসনীয় কাজ করেছে প্রশাসন। তবে দুই দলই এখন বিরোধী শিবিরে বসবেন।
তবে যেভাবে শিবসেনা থেকে বিদ্রোহীরা বেরিয়ে গিয়েছেন, একই অবস্থা কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গেও হতে পারে বলে আশঙ্কা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। বিজেপি তাদের বিধায়ক ভাঙাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই সতর্ক রয়েছে এনসিপি-কংগ্রেস।