ভবানীপুরে জয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়েও বিঁধতে ছাড়লেন না বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 'এই ফলে জনতার রায় কতখানি প্রতিভাত হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।' ভোটের ফল বেরনোর পর এমনই মন্তব্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। 'মানুষকে ভোট দিতে দিলে এই ফল হতো না। বুথ ভিত্তিক ফল দেখলেই বোঝা যাবে যে ছাপ্পা ভোট হয়েছে।' ভবানীপুরে হেরে এমনই প্রতিক্রিয়া বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের।
ভবানীপুরে ইতিহাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রায় ৫৯ হাজার ভোটে ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। হেলায় উড়িয়েছেন বিরোধীদের। রেকর্ড মার্জিনে ভবানীপুরে জিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল, 'এবার কোনও ওয়ার্ডে আমরা হারিনি। এটা প্রথম হল। একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। আজ মন ভরে গেছে। ভবানীপুরের মানুষ দেখিয়ে দিলেন।'
বিপুল জয়ের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে ভোটের এই ফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, 'জয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন। তবে এক্ষেত্রে জনতার রায় কতখানি প্রতিভাত হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। মাত্র ৫৭ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে এসেছিলেন। একটা বড় অংশের ভোটার ভোট দিতে বেরোতে পারেননি বা আসেননি। ভবানীপুরের বহু মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন। তাঁদের সমর্থন আগামিদেন পাথেয় করে এগোব।'
আরও পড়ুন- ভবানীপুরে জিতেই আরও ৩ উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা তৃণমূলনেত্রীর
উল্টোদিকে, ভবানীপুরে হার প্রসঙ্গে 'ছাপ্পা ভোট' তত্ত্বে জোর বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের। তাঁর কথায়, 'মানুষকে ভোট দিতে দিলে এই ফল হতো না। বুথ ভিত্তিক ফল দেখলে বোঝা যাবে ছাপ্পা ভোট হয়েছে। আমি নিজেও অনেক ছাপ্পা ভোটারকে ধরেছি।' তবে ভবানীপুরে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা স্বীকর করেছেন লড়াকু এই বিজেপি নেত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন