জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি পদের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন অশোক গেহলট! গতকালই কংগ্রেসের হাইকমান্ডের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লিতে যান তিনি। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার পর অশোক গেহলট স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তিনি কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচনে লড়বেন না।
এদিন প্রায় আধ ঘন্টারও বেশি সময় চলে বৈঠক। সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে তিনি রাজস্থানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেন এবং চলমান সংকটের জন্য তিনি সনিয়ার কাছে ক্ষমাও চান। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক শেষের পর অশোক গেহলট সাংবাদিকদের বলেন, “আমি সনিয়া গান্ধীকে রাজ্যের সামগ্রিক ঘটনা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দিয়েছি এবং পুরো ঘটনার জন্য আমি ওনার কাছে ক্ষমাও চেয়েছি”।
তিনি বলেন, “মঙ্গলবারের ঘটনার পর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি সভাপতি পদে লড়াই থেকে সরে আসব। হাইকমান্ড পূর্ণ বিশ্বাসের সঙ্গে আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে সেই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব। রাজ্য সভাপতি, এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক সহ অনেক দায়িত্ব পালন করেছি। তবে রবিবারের ঘটনার জন্য তখন আমি নিজেই দুঃখিত। মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে জানতে যাওয়া হলে তিনি বলেন, “সনিয়া গান্ধী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন”।
সাংবাদিকদের সামনে নাম না করে তিনি বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, “আজ দেশের যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে দল উদ্বিগ্ন। আজ সংবিধান ও গণতন্ত্র বিপন্নের মুখ। গণতন্ত্র রক্ষা করতে ভারত জোড়ো যাত্রা করছেন রাহুল গান্ধী। আমাদের সকলকেই এই বিষয়টি নিয়ে ভাবা দরকার”।
আরও পড়ুন: < হাসপাতালেই পড়ুয়াকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি, চরম আতঙ্কে রোগী-পরিজনরা >
দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে দিগ্বিজয় সিং, মল্লিকার্জুন খড়গের নাম
অশোক গেহলট সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে জানিয়ে দেওয়ার পর, কংগ্রেস সভাপতি পদের দৌড়ে দিগ্বিজয় সিংয়ের নাম এগিয়ে রয়েছে তা স্পষ্ট । দিগ্বিজয় সিং ইতিমধ্যেই সভাপতি পদে লড়াইয়ে তৈরি। আজই সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর । কংগ্রেস সভাপতি পদে মনোনয়নের শেষ তারিখ ৩০শে সেপ্টেম্বর। দিগ্বিজয় সিং ছাড়াও শশী থারুর এবং মণীশ তিওয়ারিও নির্বাচনে লড়বেন বলে সূত্রের খবর।
তবে সভাপতি হওয়ার দৌড়ে তৃতীয় তালিকায় রয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়গে। তিনিও আজ সভাপতি পদে নির্বাচনে তাঁর মনোনয়ন জমা দেবেন। খড়গে, কংগ্রেসের একজন প্রবীণ নেতা এবং রাজ্যসভার বিরোধীদল নেতা। গত সপ্তাহের শুরুতে, একটি প্রেস কনফারেন্সে ভাষণ দেওয়ার সময়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন “যিনিই কংগ্রেসের সভাপতি হন না কেন তাঁর মনে রাখা উচিত বিশ্বাস, আদর্শ এবং একটি দর্শনের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কংগ্রেস সভাপতি কেবল একটি সাংগঠনিক পদ নয়”