কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহেরর দাবিতে উত্তাল দেশ। বিক্ষোভে রাজধানীমুখী হাজার হাজর কৃষক। এই পরিস্থিতিতে ১৪ বছর আগে সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় নিজের ২৬ দিনের অনশনের প্রসঙ্গে তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে জানালেন বিক্ষোভকারী কৃষকদের পাশে থাকার কথা। একইসঙ্গে আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রকে।
এদিন টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছন, 'কৃষি জমি জোর করে নেওয়া যাবে না এই দাবিতে ১৪ বছর আগে ২০০৬ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর, কলকাতায় আমি ২৬ দিনের অনশন কর্মসূচি শুরু করি। আমি শ্রদ্ধা জানাই সেই সমস্ত কৃষকদের যাঁরা কেন্দ্রের আনা কৃষি আইনের বিরোধিতা করছেন।' মোদী সরকার কাউকে কিছু না জানিয়েই নয়া কৃষি আইন পাস করেছে বলে অভিযোগ মমতার।
নয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই সরব তৃণমূল। পুজোর আগে রাজ্যব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে জোড়া-ফুল শিবির। গত কয়েক দিনে দেশজুডে় কৃষকদের বিদ্রোহ বড় আকার নিতে শুরু করেছে। এই প্রক্ষাপটেই বৃহস্পতিবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী টুইটে জানিয়েছিলেন, 'কৃষকদের নিয়ে আমি খুবই উদ্বিগ্ন। কৃষক বিরোধী বিলগুলো প্রত্য়াহার করুক কেন্দ্র সরকার। যদি তারা তা না করে, তাহলে আমরা রাজ্য় ও দেশজুড়ে অবিলম্বে আন্দোলনে নামব। প্রথম থেকেই আমরা এই কৃষক বিরোধী বিলগুলির বিরোধিতা করে আসছি।'
এদিন তৃণমূল ভবনে কৃষি আইন প্রসঙ্গে মোদী সরকার বিরুদ্ধে সুর চড়ান তৃণমূল সাংসদ কাকলী ঘোষদস্তিদার। বলেন, ''রাজ্যকে না জানিয়ে সব আইন কেন্দ্রীয় সরকার কুক্ষিগত কররা চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় কৃষি আইন রাষ্ট্রবিরোধী ও অসাংবিধানিক। সর্বশক্তি দিয়ে কৃষি আইনের প্রতিবাদ করা হবে।' একই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, 'সমস্যা দেখা দিলে মহকুমা শাসকের দফতরে গিয়ে কৃষকদের অভইযোগ দাখিল করতে হবে। কিন্তু কাজ ফেলে কৃষকরা যাবেন কিভাবে?' নয়া কৃষি আইন পুঁজিপতিদের স্বার্থেই করা হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল সাংসদের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন