প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ‘খুব ভাল’ বৈঠকের পর আজ মোদী সেনাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ নর্থ ব্লকে মমতা-শাহ বৈঠক শুরু হয়। কথা। এই প্রথমবার অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মমতা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে মমতা জানিয়েছিলেন, তিনি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে চান। এজন্য মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে সময় চাওয়া হয়। অবশেষে মমতাকে সময় দিলেন শাহ।
মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর অমিত শাহের সঙ্গে মমতার বৈঠক ঘিরে আসরে নেমেছে রাজ্যের বিরোধীরা। মূলত রাজীব কুমার ইস্যুকে খাড়া করেই মমতাকে বিঁধেছে বাম-কংগ্রেস-বিজেপিরা। ‘‘রাজীব কুমারকে বাঁচাতেই মমতা দিল্লি গিয়েছেন’’ বলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে পাকড়াও করতে যখন ঝাঁপিয়ে পড়েছে সিবিআই, ঠিক সেই প্রেক্ষাপটে মমতার সঙ্গে মোদী ও শাহের সাক্ষাৎ রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মোদী-শাহদের বিরুদ্ধে চরম আক্রমণ শানিয়েছিলেন মমতা। পাল্টা তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধেও আক্রমণের সুর চড়া করেছিলেন মোদী-শাহরা।
আরও পড়ুন: দারুণ খুশি মমতা, মোদীকে বাংলায় আমন্ত্রণ মুখ্যমন্ত্রীর
মোদী-মমতা বৈঠক। ছবি: টুইটার।
গতকাল মমতা-মোদী বৈঠকে কী কথা হয়েছিল?
বৈঠক শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘বৈঠক খুব ভাল হয়েছে। রাজ্যের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রের থেকে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা পাই, সে কথা জানিয়েছি। রাজ্যের নাম বদল নিয়ে কথা হয়েছে। আমি বলেছি, ‘বাংলা’ নামকে সামনে রেখে যদি ওঁরা কোনও প্রস্তাব দেন, সেক্ষেত্রে আমাদের কোনও সমস্যা নেই’’। পাশাপাশি মমতা জানান, ‘‘বাংলা দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা ব্লক পেয়েছে। বীরভূমে দেউচা-পাচামি কয়লা ব্লক অনুমোদন পেয়েছে। আমি বলেছি, পুজো মিটলে আপনি আসুন, ভাল করে উদ্বোধন করা হবে’’। এরপরই মমতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক কথা হয়েছে। রাজ্য ও দেশের যাতে ভাল হয়, সে ব্যাপারে কথা হয়েছে’’। তবে মমতা এদিন এও বলেন যে এটা কোনও রাজনৈতিক বৈঠক নয়। এক সরকারের সঙ্গে আরেক সরকারের আলোচনা। উল্লেখযোগ্যভাবে এনআরসি নিয়ে এদিন তাঁদের কোনও কথা হয়নি বলে দাবি করেছেন মমতা।