আগেই ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। পদ ছাড়লেও অবশ্য মন্ত্রিত্ব ছাড়েননি তিনি। ফলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে বিধানসভার সদস্য হতে হবে তাঁকে। একই অবস্থা মুখ্যমন্ত্রীরও। এই পরিস্থিতিতে ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে কমিশন। এই কেন্দ্রেই তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, বাকি চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা না হওয়ায় কার্যত বিপদে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচন না হলে তাঁর মন্ত্রিত্ব টিঁকিয়ে রাখাই চ্যালেঞ্জ।
Advertisment
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তৃণমূলের শুরু থেকেই মমতার পাশে রয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। দলীয় স্বার্থে দু’বার বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি তাঁকে। চলে যেতে পারে মন্ত্রিত্ব। স্বাভাবিকভাবেই হতাশ শাসক দলের এই বর্ষীয়ান নেতা।
তবে, দলের তরফে আগেই শোভনদেববাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। তাতেই কিছুটা মানভঞ্জন হয় তাঁর। ইতিমধ্যেই প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে দেওয়াল লিখনও করেছেন এই নেতা।
Advertisment
এদিন অবশ্য খোদ তৃণমূল নেত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জানিয়ে দেন, খড়দার উপনির্বানে লড়াই করবেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী। তিনি যে মন্ত্রী থাকবেন সে নিয়েও আশ্বস্ত করেছেন ভবানীপুরের প্রাক্তন বিধায়ককে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, 'আমি নিজে ষড়যন্ত্রে বলি হয়েছি। শোভনদাকে পদ ছাড়তে হল। ওনাকে অনেক ধন্যবাদ। শোভনদা কাজ করবেন, মন্ত্রীও থাকবেন। খড়দা থেকে উনি উপনির্বাচনে লড়াই করবেন।' রাজ্যের বাকি কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন অক্টোবর-নভেম্বরে হবে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কেন রাসবিহারীর বদলে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে ভবানীপুর থেকে প্রার্থী করা হয়েছিল, এ দিন তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, 'আমি ভাবলাম শোভনদা এত পুরনো ছেলে। চিরকাল শোভনদা এই এলাকায় থাকে। তাই ভেবেছিলাম শোভনদা এবার নিজের এলাকায় লড়ুক। তাছাড়া দেবার (দেবাশিস কুমার) প্রতি আমার একটা কমিটমেন্ট ছিল। ওকে বলেছিলাম সুব্রতা দা লোকসভায় বাঁকুড়া থেকে জিতলে তোকে বালিগঞ্জে দাঁড়াতে হবে। তাই আমি শোভনদার সিটটা দেবাকে দিয়েছি। শোভনদাকে ভবানীপুর। আর নিজে ষড়যন্ত্রের বলি হয়েছি। মনে রাখবেন আমি সবাইকে নিয়েই চলি। এটা আমাদের পরিবার।'