অসাংবিধানিক মন্তব্যের পরও কী করে কেউ মন্ত্রীর চেয়ারে বসে থাকতে পারেন! কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে এ ভাষাতেই বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের একটি সভায় ‘দেশ কে গদ্দারোঁ কো, গোলি মারো শালো কো’ মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক বাধে। এই মন্তব্যের জেরে দিল্লি ভোটের মুখে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ভোট প্রচারে ৭২ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন।
Advertisment
অনুরাগকে নিশানা করে এদিন মমতা বলেন, ‘‘অসাংবিধানিকভাবে শব্দ প্রয়োগের পরও কী করে একজন মন্ত্রী চেয়ার আঁকড়ে বসে থাকতে পারেন!’’ উল্লেখ্য, এর আগে শাহিনবাগের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেছিলেন, ‘‘বিজেপি নেতারা বলছে, গুলি চালাবে। যেখানে পারছে গুলি চালাচ্ছে। এটা কী হচ্ছে, এটা সরকার! শান্তি বজায় রাখা দরকার। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, গুলি চালাব। কাউকে পছন্দ হল না বলে গুলি চালিয়ে দেব? শাহিনবাগ, পার্কসার্কাসে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছে, মেয়েরা বসে আছে। সেখানে গিয়ে গুলি চালাচ্ছে।যা ইচ্ছে তাই করছে’’।
প্রসঙ্গত, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শাহিনবাগে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। প্রথম থেকেই শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের টার্গেট করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের। এই আবহে জামিয়ার পর শাহিনবাগে বিক্ষোভস্থলে গুলি চালানোর ঘটনা নয়া মোড় নেয়। দিল্লির সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘জামিয়া, শাহিনবাগের আন্দোলনের নেপথ্যে রাজনীতি রয়েছে। দেশের সম্প্রীতি নষ্ট করতে একটা রাজনৈতিক চক্রান্ত এটা’’।