বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে গিয়ে দোষীদের কড়া শাস্তি, ব্লক সভাপতিকে গ্রেফতার, সাহায্য, অনুদান সমস্ত ঘোষণার মধ্যেও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব থেকে সরে আসেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরং ষড়য়ন্ত্রের তত্ত্বে অনড় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বাইরের দুষ্কৃতীদের জড়িত থাকার কথাও এদিন বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল বগটুই গ্রামে এসেছিলেন সিপিএম ও বিজেপির প্রতিনিধি দল। কিন্তু এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে আসায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে বগটুই যাওয়ার রাস্তায় আটকানো হয়েছে।
Advertisment
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, সিপিএম ও বিজেপি প্রতিনিধিরা আসবে বলে বুধবার তিনি বগটুই গ্রামে যাবেন না। পরের দিন বগটুই গ্রামে যাবেন। এদিন দুপুর একটার পর হেলিকপ্টারে নেমে সরাসরি ঘটনাস্থলে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী গ্রামে আসবেন বলে নিহত ভাদু শেখের পরিবার ও আগুনে দগ্ধ পরিবারের সদস্যদের গ্রামে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে পুলিশ-প্রশাসন। সোমবার রাতের ঘটনা সাধারণ একটা খুন ও তার বদলা তা এখনও মানতে নারাজ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। পরপর দুটি ঘটনাতেই ষড়যন্ত্র দেখছেন মমতা।
বগটুইতে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, 'আমি এখনও বলছি এটার পিছনে বড় ঘটনা আছে। একজনকে খুন করা, তারপর বাড়িতে আগুন লাগল। শুধু স্থানীয়স্তরে ঘটানো হয়েছে নাকি বাইরে থেকে দুষ্কৃতী এসেছিল। সব দিকটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।' খুনের ঘটনার পর পুলিশ সক্রিয় হলে এমন ঘটনা ঘটত না বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'সেদিন খুনের ঘটনার পর কোনও পুলিশ পিকেটিং গ্রামে বসানো হয়নি। পুলিশের কর্তারা বিষয়টা জানা সত্বেও অবহেলা করেছে। তাই তাঁদের সরানো হয়েছে।'
গতকালই কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে বগটুইর ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা বলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। ইঙ্গিতটা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলির দিকে। এমনকী সম্প্রতি বিজেপি থেকে যোগ দেওয়া জয়প্রকাশ মজুমদারও বলেছেন, 'আর একটা নন্দীগ্রাম হলেই বিজেপির কেল্লা ফতে।' তাতে বিরোধীদের লাভ হবে বলেই তিনি ইঙ্গিত করেছিলেন। এর পাশাপাশি তৃণমূলের মুখপাত্ররাও একযোগে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব আউড়ে গিয়েছেন। এদিনও সেই তত্ত্ব ফের শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর কথায়।