দিল্লি ভোটের ফলকে সামনে রেখে একুশের নির্বাচনে বিজেপিকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের নির্বাচনে বিজেপিকে শিক্ষা দেবে বাংলা, মঙ্গলবার বাঁকুড়ার সভায় একথাই বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিজেপিকে নিশানা করে এদিন মমতা বলেন, ‘‘ধীরে ধীরে স্টেট লেস হয়ে যাচ্ছে বিজেপি। বড় রাজ্য বলতে শুধু উত্তরপ্রদেশ ও কর্নাটক। শেষ কলস ডুবিয়ে দেবে একুশের বাংলা। টাকা দিয়ে হবে না। আমার মা-বোনেদের শঙ্খ, উলুধ্বনির জোর অনেক বড়’’।
উল্লেখ্য, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ১৮টি আসনে জিতে অভাবনীয় উত্থান ঘটেছে বিজেপির। বঙ্গভূমিতে শক্তি বাড়িয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের কুর্সি দখলে মরিয়া গেরুয়াবাহিনী। এদিকে, নিজের জমি ধরে রাখতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে মমতা বাহিনীও। এই প্রেক্ষিতে দিল্লিতে বিজেপির ধরাশায়ী চেহারা সামনে এনে যেভাবে বাংলার ক্ষমতা দখল নিয়ে পদ্মশিবিরকে হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা, তা রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: মমতা সরকারের বাজেট: একনজরে বড় ঘোষণা
আরও পড়ুন: বিভাজনের রাজনীতি সত্ত্বেও বিজেপি পরাজিত, খুব খুশি: মমতা
এদিন বাঁকুড়ার সভায় গিয়ে বিজেপিকে চরম আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘‘আপনাদের কাছে শুভ সংবাদ নিয়ে এসেছি। দিল্লিতে বিজেপি পরাজিত। কেজরিকে ফোন করে বললাম, তোমাকে অনেক অভিনন্দন জানালাম। আমরা একসঙ্গে কাজ করি। বিজেপি টাকার হোসপাইপ নিয়ে, সব এজেন্সিকে দিয়েও ভোকাট্টা হয়ে গিয়েছে। রাজ্যশূন্য হয়ে যাচ্ছে বিজেপি। সব জায়গায় বিজেপি হারছে। শেষ কলস ডুবিয়ে দেবে একুশের বাংলা, তৈরি থাকুন আপনারা। টাকা দিয়ে হবে না। আমার মা-বোনেদের শঙ্খ, উলুধ্বনির জোর অনেক বড়’’।
এর আগে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘যেখানেই ভোট হচ্ছে সেখানেই বিজেপি হারছে। বিজেপির সংকীর্ণ, বিদ্বেষ, বিভাজনের রাজনীতি মানুষ চায় না। মানুষ উন্নয়ন চায়। আমি খুব খুশি যে এত ধর্মান্ধতা, সংকীর্ণতার রাজনীতি করেও জয় হয়েছে দিল্লিবাসীর। আস্ত একটা কেন্দ্রীয় সরকার তার সর্বস্ব এজেন্সি দিয়ে গায়ের জোরে একটা কিছু করব বলে দখল করার চেষ্টা করেছিল, করতে পারেনি। দিল্লিবাসীকে অভিনন্দন’’।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন