ইডি-র জালে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী। অর্থ পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা নবাব মালিক। সরব দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে দেশের অন্যতম বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা জাতীয়স্তরে বিজেপি বিরোধী নেতৃত্বের মধ্যে অন্যতম শরদ পাওয়ারকে ফোন করে বুধবার কথা বলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, প্রায় মিনিট দশেক পাওয়ার-মমতার ফোনে কথোপকথন হয়েছে। মন্ত্রী নবাব মালিকের গ্রেফতারি নিয়ে এনসিপি-র দাবিকে সমর্থন করেছেন তৃণমূল নেত্রী।
আরও পড়ুন- দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগসাজশ, গ্রেফতার মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক
গতবছর মে মাসে নারদকাণ্ডে রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই সময় ধৃতদের মন্ত্রিত্ব থেকে মমতা কী সরিয়ে দিয়েছিলেন? সূত্রের খবর, পাওয়ার তা তৃণমূল নেত্রীর থেকে জানতে চান। জবাবে মমতা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানিয়েছেন যে, নবাব মালিককে যেন মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভা থেকে বাদ না দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- Explained: কে এই নবাব মালিক, কেনই বা তাঁকে গ্রেফতার করল
মহারাষ্ট্রে এখন সরকার চালাচ্ছে এনসিপি, শিবসেনা, কংগ্রেস মহাজোট। সিবিআই-কে কাজে লাগিয়ে দেশের বিরোধী দলের নেতাদের জেলবন্দি করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে চাইছে বিজেপি। দীর্ঘদিন ধরে এমন অভিযোগ করে আসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শরদ পাওয়ার- উভয়ই কেন্দ্রীয় বিভিন্ন সংস্থার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন।
অর্থ পাচার কাণ্ডে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা এনসিপি-র অভিজ্ঞ নেতা নবাব মালিককে গ্রেফতার করেছে ইডি। দীর্ঘ ৮ ঘণ্টার ম্যরাথন জেরার পর নবাব মালিককে গ্রেফতার করা হয়। মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী নবাবের এই গ্রেফতারির নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি মহারাষ্ট্রের শাসকর শিবিরের। শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে বলা থেকে বিজেপি-র বিরুদ্ধে নানা ইস্যুতে সরব নবাবকে ঘুর পথে ইডি-কে ব্যবহার করে গ্রেফতার করা হল বলে সরব এনসিপি, শিবসেনা, কংগ্রেস। ইডি তরফে খবর, দাউদের সম্পত্তি কেনা সহ নানা আর্থিক তছরুপ ও অর্থপাচারের সঙ্গে যোগ রয়েছে নবাবের। তাই মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।