/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/06/mamata-prashant-kishor.jpg)
মমতা ও প্রশান্ত কিশোর।
বিশিষ্ট নির্বাচন বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের ভোটে অন্ধ্রপ্রদেশের জগন্মোহন রেড্ডির ব্যাপক জয়ের পিছনে প্রশান্তের মস্তিষ্কই কাজ করেছে। এর আগে নীতীশ কুমার ও নরেন্দ্র মোদীকেও এ ধরনের সাহায্য করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় চল্লিশ মিনিট কথা হয় প্রশান্ত কিশোরের। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাসংদ তথা মমতার ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
এবারের ভোটে এই প্রথমবার এ রাজ্যে ব্যাপক উন্নতি করেছে বিজেপি। ৪২ টার মধ্যে ১৮টি আসনে জিতেছে তারা। তৃণমূল কংগ্রেসের আসন ৩৪ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২২-এ। ২০০৯-এর লোকসভা ভোট থেকে ক্রমাগত জিতে আসা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে এবারের ফল বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা দিয়েছে। ২০২১ সালে এ রাজ্যে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা।
আরও পড়ুন: ওদের বিজয় মিছিল হবে না, আমাদের শান্তি মিছিল হবে, পুলিশকে নির্দেশ মমতার
তৃণমূল কংগ্রেসের সূত্র জানিয়েছে, মমতা এবং প্রশান্ত কিশোর লোকসভা ভোটে তৃণমূলের খারাপ ফলের কারণ নিয়ে আলোচনা করেন। প্রশান্ত কিশোর আসন ধরে ধরে তাঁর মতামত ব্য়াখ্য়া করেন মমতার কাছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের এক বর্ষীয়ান নেতা নাম গোপন রাখার শর্তে জানিয়েছেন, "প্রশান্ত একজন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং আমাদের নেত্রী লোকসভা ভোটের ফলের কারণ এবং ধারা নিয়ে ওঁর মত শুনেছেন। রাজ্য়ে বিজেপির অগ্রগতি আটকাতে একটি রোড ম্যাপও তৈরি করেছেন তাঁরা।"
অন্ধ্র প্রদেশে ওয়াই এস আর কংগ্রেসের জয়ের কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে প্রশান্ত কিশোরকেই। এবারে অন্দ্রে ওয়াই এস আর কংগ্রেস ২৫টি লোকসভা আসনেই জিতেছে। ১৭৫টি বিধানসভার মধ্য়ে ১৫০টিরও বেশি আসনে জিতেছে তারা। ২০১৭ সালের মে মাসে জগনের বিশেষ উপদেষ্টা পদে নিযুক্ত হন প্রশান্ত। তেলুগু দেশম পার্টি ও চন্দ্রবাবু নাইডুর কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করার কৌশল রচনা করেছিলেন তাঁরা।
নির্বাচন কৌশলী হিসেবে খ্যাত প্রশান্ত কিশোর ২০১৪ সালে মোদীর উদ্ভাবনী নির্বাচনী প্রচারে নিজস্ব উপাদান জুগিয়েছিলেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি জেডিইউ-তে যোগ দেন এবং এক মাস পরে সে দলের জাতীয় সহ সভাপতি হন। ২০১৫ সালের বিহার বিধানসভা ভোটে নীতীশ কুমারের নির্বাচনী প্রচারের কৌশল রচনা করেছিলেন তিনি।