কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলকে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় মোদী মন্ত্রিসভায়থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বাংলার দুই সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী। এদিন বিজেপি নেতৃত্বের এই পদক্ষেপেরও সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সাফ কথা, 'কী কারণে মন্ত্রিসভার রদবদল হচ্ছে, তা বলতে পারব না। এটা তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়, বিজেপিও তাই এখন বিভেদকামী শক্তিকেই খুঁজছে।'
বাংলা থেকে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাই হতে পারে চার জন বিজেপি সাংসদের। নিশীথ প্রামাণিক, শান্তুনু ঠাকুরের মোদী মন্ত্রিসভায় জায়গা প্রায় পাকা। দৌড়ে রয়েছেন জন বার্লা ও সুভাষ সরকারও। তবে, ইস্তফা দিতে হয়েছে গত দু'বছর ধরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরীকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল প্রসঙ্গেই বুধবার বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এতে বিজেপির লাভ হতে পারে, মানুষের কোনও কাজ হবে না।'
আরও পড়ুন- ঠাঁই নেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়, রাজ্য যুব মোর্চার পদ থেকে ইস্তফা সৌমিত্রর
এরপরই বাবুল ও দেবশ্রীর ইস্তফা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মমতা। তাঁর প্রশ্ন, 'কাকে মন্ত্রী করবে, কাকে করবে না, কাকে ঘাড় ধাক্কা দেবে সেটা ওদের ব্যাপার। কিন্তু, আজ বাবুল খারাপ হয়ে গিয়েছেন? শুনেছি ওই রাজবংশী মহিলাটা সাংসদও খারাপ হয়েছেন, ওকেও ইস্তফা দিতে বলেছে। আসলে তাঁদের বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয়েছে। যে সমস্ত মানুষকে নিয়ে এখন বাড়াবাড়ি হচ্ছে, তাঁরা কখনও মানুষের কাজে লাগবে না।'
কিছুদিন আগেই আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছিলেন। যা ঘিরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়। গেরুয়া দলের বিরুদ্ধে বাংলা ভাগে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে সরব হয় তৃণমূল। এরপরই পৃথক রাজ্যের দাবি দলের নয় বলে দায় এড়ানোর চেষ্টা করে গেরুয়া নেতৃত্ব। কিন্তু, সেই পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিদার দলীয় সাংসদ বার্লাকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এই পদক্ষেপ কী আসতে বিচ্ছিন্নতাকামী শক্তিকে মদতের জন্যই করা হল?
জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিজেপি নিজেই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিই। আজ নয়, চিরকাল। বিনাশকালে এসব শক্তিকেই সবাই খোঁজে। তবে এঁরা পাতে দেওয়ার যোগ্য নন। এদের দিয়ে কোনও কাজ হবে না।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন