জয় বাংলার পর এবার জয় হিন্দুস্থান। বাংলার গন্ডি পেরিয়ে সর্বভারতীয় ধ্বনি। বুধবার শহিদ দিবসে কালিঘাট থেকেই মোদী হঠাতে জোট গড়ার ডাক দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলনেত্রীর এই ভার্চুয়াল ভাষণ দিল্লিতে বসে শুনলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম, দিগ্বীজয় সিং, এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার, সমাজবাদী পার্টি নেতা জয়া বচ্চন সহ একাধিক বিজেপি বিরোধী নেতৃত্ব। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে একজন কর্মী হিসাবেই তিনি কাজ করতে চান। তিনি জোট গড়ার ডাক দিয়েছেন ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে।
এবারের ২১ জুলাই ভার্চুয়াল হলেও তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য জাতীয় স্তরে পৌঁছানোই ছিল মূল লক্ষ্য। তাই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক যোগে হিন্দি, ইংরেজি ও বাংলায় বক্তব্য রেখেছেন। তাঁর বক্তব্যের লক্ষ্যও ছিল জাতীয় রাজনীতি। আগামী ২০২৪-এ লোকসভার নির্বাচন। এদিন মমতা বলেন, "এখনও আড়াই বছর বাকি আছে। তাড়াহুড়ো করলেও হবে না, আবার নির্বাচনের সময় জোট বাঁধলেও হবে না। এক একটা দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আসুন আমরা জোট গড়ি। ভারতকে পথ দেখাই। দেশকে রোশনি দেখানো জরুরি। আমি একজন কর্মী হিসাবেই কাজ করব। আপনারা যেমন পরামর্শ দেবেন সেভাবেই কাজ করব।"
আরও পড়ুন- ফোনের ক্যামেরা ঢেকেছেন প্লাসটারে, ‘পেগাসাই মোদীর নাভিশ্বাস’ তোপ মমতার
আরও পড়ুন- ‘খেলা হয়েছে, আবার খেলা হবে, বিরোধিরা ফ্রন্ট গড়ুন’
আগামী ২৫ জুলাই দিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। বংলার মুখ্যমন্ত্রী সংসদের সেন্ট্রাল হলেও যাবেন। প্রায় ২ বছর তিনি যাননি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি বিরোধী শক্তিকে ফ্রণ্ট গড়ার আহ্বান জানান। জাতীয় স্তরে 'খেলা হবে'-র কথাও ঘোষণা করলেন তিনি। মমতা বলেন, "পরের সপ্তাহে দিল্লি যাব। ২৭, ২৮ ২৯ মিটিং অ্যারেঞ্জ করলে থাকব। যতদিন বিজেপিকে ভারত থেকে বিতারিত করতে না পারব না ততদিন খেলা হবে।" বিজেপিকে 'হাই লোডেড ভাইরাস পার্টি' বলেও কটাক্ষ করেন তৃণমূলনেত্রী।
এদিন প্রায় ৪৯ মিনিট বক্তব্য রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাষণের শুরুতে ও শেষে তাঁর মুখে নতুন ধ্বনি শোনা গিয়েছে। জয় হিন্দ, বন্দেমাতরম, জয় বাংলা, জয় হিন্দুস্থানী বলে ভাষণ দেওয়া শুরু করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। বক্তব্য শেষ করার সময়ও ওই চার ধ্বনী দিয়েই শেষ করেছিলেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এবার তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য দিল্লি। তাই তৃণমূল আর জয় বাংলা ধ্বনীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না আজ থেকে যুক্ত হল জয় হিন্দুস্থান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন