যত দিন গড়াচ্ছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসি ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদের স্বর ততই রুক্ষ হচ্ছে। গত সপ্তাহের পর এদিনও সিএএ বিরোধিতায় রাজপথে নামার মুখে বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন মমতা। এ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যু নিয়ে যেভাবে বিজেপি নেতারা বারবার সরব হচ্ছেন, রবিবার লখনউ বিমানবন্দরে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের আটকের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে এ ব্যাপারে জবাব দিলেন মমতা। সিএএ বিরোধিতায় অন্যান্য রাজ্যে যেভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলেছে, এমনকি, প্রাণহানি ঘটেছে, সেদিক থেকে বাংলা যে অনেকটাই শান্ত, কার্যত সেই বার্তা দিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘দ্যাখ, বাংলার আইনশৃঙ্খলা, দিল্লি থেকে এলি, মিছিল করলি, আমায় গালি দিলি, চলে গেলি। আটকাতে এক সেকেন্ড লাগত। কিন্তু আমরা তা করিনি। এটা গণতন্ত্র’’। অন্যদিকে, সোমবার কলকাতায় বিজেপি নেতা জেপি নাড্ডার মিছিলকে এদিন একহাত নিয়েছেন মমতা। নাড্ডার নাম না করে মমতার কটাক্ষ, ‘‘হাঁটতে গেলে কোমরে ব্যথা, গাড়ি করে মিছিল করে চলে গেল’’।
বিজেপিকে নিশানা মমতার
লখনউ বিমানবন্দরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে আটকানোর ঘটনায় সোচ্চার হয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন বলেন, ‘‘আমাদের প্রতিনিধিদের বিমানবন্দর থেকেই নামতে দেওয়া হল না’’। এরপরই নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে সোমবার কলকাতায় বিজেপির অভিনন্দন যাত্রাকে বিঁধে মমতা বলেন, ‘‘বাংলার আইনশৃঙ্খলা দ্যাখ। মিছিল করেছিস, গালি দিয়েছিস আমায়, চলেও গেলি। আটকালে এক সেকেন্ড লাগত। কিন্তু আমরা করিনি’’। এরপরই কলকাতায় সোমবার বিজেপির মিছিলের প্রধান মুখ জে পি নাড্ডার নাম না নিয়ে মমতার কটাক্ষ, ‘‘কোমরে ব্যথা! হাঁটতে পারেন না। গাড়িতে করে মিছিল করল। গাড়িতে করে টাটা করে গেলেন’’।
আরও পড়ুন: বিজেপির মিছিলে নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে স্লোগান কম, কান ফাটলো অন্য স্লোগানে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: শশী ঘোষ।
আরও পড়ুন: জনজোয়ারই প্রমাণ করল বাংলা সিএএ-এর পক্ষে: নাড্ডা
ঝাড়খণ্ডে বিজেপির হার, আক্রমণাত্মক মমতা
ঝাড়খণ্ডে বিজেপির ভরাডুবি নিয়ে সোচ্চার হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিজেপিকে চরম বিঁধে মমতা এদিন বলেন, ‘‘যোগ্য জবাব মানুষ দিতে শুরু করেছে। ঝাড়খণ্ড বিজেপি হয়েছে লন্ডভন্ড। গণতন্ত্রের ঝাড়বাতি অনেক বড়। একবার যদি জ্বলে না, অন্য আলো টিমটিম করে। অহঙ্কার ঝাড়ুন, ঔদ্ধত্য ঝাড়ুন’’।
অন্যদিকে, মতুয়াদের প্রসঙ্গ টেনে এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মতুয়ারা নাগরিকত্ব পাবেন বলে নাকি মমতা বাধা দিচ্ছে! এসব কথা বলা হচ্ছে। মতুয়া ডেভেলপমেন্ট বোর্ড গড়েছেন মমতা। মতুয়া কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় মমতা গড়েছে। ৩০ বছর বড়মার চিকিৎসার খরচ বহন করেছে এই মমতা। মতুয়ারা এ দেশের নাগরিক। এসব আমাকে শেখাবেন না’’।