Kolkata Anti-CAB Rally Updates, Mamata Banerjee : কলকাতায় মুরলীধর সেন লেনে বিজেপি রাজ্য দফতরের সামনে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে তৃণমূলের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী পদযাত্রা সংশ্লিষ্ট এলাকাতে পৌঁছোতেই চরম পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে। গেরুয়া কার্যালয়ের সামনে তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন ও এনআরসি-র বিরোধিতায় তৃণমূল কর্মীরা।
‘‘বাংলায় কোনও এনআরসি হবে না, কাউকে তাড়ানো হবে না। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করতে হবে’’, এমন শপথ বাক্য পাঠ করিয়েই মিছিল শুরু করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আম্বেদকরের মূর্তির সামনে মিছিল শুরুর আগে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভদ্রভাবে মিছিলে হাঁটবেন। নো এনআরসি, নো ক্যাব, আমরা শান্তি চাই, এটাই স্লোগান। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করব আমরা। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শামিল হব’’। এরপরই সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে মমতা বলেন, ‘‘আজকের শপথ, আমরা সবাই নাগরিক। সর্ব ধর্ম সমন্বয় আমাদের জীবন আদর্শ। কাউকে বাংলা ছাড়তে দেব না। নিশ্চিন্তে থাকব, শান্তিতে থাকব। বাংলায় এনআরসি ও ক্যাব করতে দিচ্ছি না, দেব না শান্তি রাখতে হবে’’। Read the blog in English
নতুন নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে বিজেপি ধর্মের ভিত্তিতে দেশ বিভাগের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে জোড়া-ফুল শিবির। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ ও এনআরসির প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই রাজ্যে হিংসার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গত বুধবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ চলছে। স্টেশনে ভাঙচুর, ট্রেন ও বাসে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করা হচ্ছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। রাজ্যের ছয় জেলায় বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে বাংলায় শান্তি বজায় রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শান্তিপূর্ণ পথে আন্দোলনের আর্জি জানানো হয়েছে। হিংসা ছড়ালে তা কড়া হাতে মোকাবিলার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। প্রতিবাদ মিছিলের সঙ্গেই এদিন তাই রাজ্যে শান্তির দাবিতেও পদযাত্রা হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
Live Blog
Mamata Banerjee's Mega rally today against CAA : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে আজ কলকাতায় মহা মিছিলে হাঁটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ সংক্রান্ত সব খবরের আপডেট রইল এখানে, Follow the Updates here:
এনআরসি-ক্যাবের প্রথম থেকেই তীব্র বিরোধিতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ মিছিলে এর আগেও হেঁটেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, এনআরসি-ক্যাব ইস্যুকে হাতিয়ার করেই বাংলার ৩ কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জয়ের হাসিল করেছে ঘাস-ফুল শিবির। তাই আগামী বছর পুরসভা ভোট ও ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের কথা বিবেচনা করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ ও এনআরসি-র বিরোধীতায় সুর আরও তীব্র করতে মরিয়া তৃণমূল নেত্রী।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার বাঁকড়ায়। সকাল থেকেই কার্যত বনধের চেহারা নেয় এলাকা।সকালে রাস্তার উপরে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করা হয় হাওড়া আমতা রোড। হাওড়ার ডেপুটি কমিশনার সদর অজিত সিং রাঠোর এর নেতৃত্বে পুলিশের বিশাল বাহিনী ও র্যাফ এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।ছবি: অরিন্দম বসু।
কলকাতায় বিজেপির সদর দফতরের সামনে উত্তেজনা। জুতো ছোড়া হল এলাকায়। দেখুন ভিডিও
‘যতক্ষণ না ক্যাব-এনআরসি প্রত্যাহার হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা রাস্তায় আন্দোলন চালিয়ে যাব’’, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে এমন চড়া ভাষাতেই মোদী বাহিনীর বিরুদ্ধে হুঙ্কার কাড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি মমতার চরম হুঁশিয়ারি, ‘‘ক্যাব করলে আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে করতে হবে। এনআরসি করলে আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে করতে হবে। তা না হলে করা যাবে না’’। একইসঙ্গে বিজেপিকে চরম নিশানা করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘‘কী করবেন সরকার ফেলে দেবেন? ফেলে দিন। তবুও আমরা সম্মানের সঙ্গে লড়ব। আত্মসমর্পণ করব না’’। বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে ‘আমার সরকার ফেলতে হলে ফেলে দিন’, চরম বার্তা মমতার
বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘তোমাদের দয়ায় আমাদের নাগরিকত্ব স্বীকার করতে হবে না। আমরা সকলে এ দেশের নাগরিক। কে আপনি? যে আমি নাগরিক কিনা, সেটা আপনি বলে দেবেন? কে আপনারা? আমি হিংসা পছন্দ করি না। কেউ হিংসাত্বক আন্দোলন করবেন না। বিজেপির কাছে মাথা নত করে কেউ কেউ আছেন, বিক্ষোভ করছেন। শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করুন। বিজেপি চায় হিংসা হোক, আর ওরা ফয়দা নেবে। এটাই ওদের উদ্দেশ্য। আমরা ভাগাভাগি করি না’’
মহামিছিল শেষে বক্তব্য পেশ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতায় মুরলীধর সেন লেনে বিজেপি রাজ্য দফতরের সামনে এই মুহূর্তে চরম বিশৃঙ্খলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে তৃণমূলের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী পদযাত্রা সংশ্লিষ্ট এলাকাতে পৌঁছোতেই চরম পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে। গেরুয়া কার্যালয়ের সামনে এই মুহূর্তে তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন নাগরিকত্ব সংশোধিতা আইন ও এনআরসি-র বিরোধিতায় তৃণমূল কর্মীরা।
মমতার মিছিলে হাজার হাজার মানুষ। এনআরসি, নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনের বিরোধিতায় সরব বহু মানুষ।
আম্বেদকরের মূর্তির সামনে মিছিল শুরুর আগে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভদ্রভাবে মিছিলে হাঁটবেন। নো এনআরসি, নো ক্যাব, আমরা শান্তি চাই, এটাই স্লোগান। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করব আমরা। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শামিল হব’’। এরপরই সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে মমতা বলেন, ‘‘আজকের শপথ, আমরা সবাই নাগরিক। সর্ব ধর্ম সমন্বয় আমাদের জীবন আদর্শ। কাউকে বাংলা ছাড়তে দেব না। নিশ্চিন্তে থাকব, শান্তিতে থাকব। বাংলায় এনআরসি ও ক্যাব করতে দিচ্ছি না, দেব না শান্তি রাখতে হবে’’।
তৃণমূল কর্মীদের পাশাপাশি মমতার মিছিলে যোগ দিয়েছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। এমনটাই খবর মিলছে। মিছিলের তৃণমূলের পতাকার পাশাপাশি দেখা গিয়েছে জাতীয় পতাকাও। উল্লেখ্য, তৃণমূলের মিছিল হলেও সিএএ ও এনআরসি-র প্রতিবাদে মিছিলে সকলকে আহ্বান করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সিএএ ও এনআরসি-র প্রতিবাদে কলকাতার রাস্তায় হাঁটছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘‘বাংলায় কোনও এনআরসি হবে না, কাউকে তাড়ানো হবে না। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করতে হবে’’, এমন শপথ বাক্য পাঠ করিয়েই মিছিল শুরু করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আম্বেদকরের মূর্তির সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটু পরেই শুরু মহামিছিল।
নাগরিকত্ব সংশোধীত আইনের প্রতিবাদে ক্রমশই তেতে উঠছে বঙ্গভূমি। শনি-রবিবারের পর সোমবারও জেলায় জেলায় অশান্তির ছবি সামনে এসেছে। এদিনও বিক্ষোভকারীদের নিশানায় রেল। সকাল থেকেই পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভের জেরে বিপর্যস্ত হয়েছে ট্রেন চলাচল। এদিন সকালে দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় পূর্ব মেদিনীপুরের বাসুলিয়ায় সকাল ৬টা ১০ মিনিট থেকে অবরোধ শুরু হয়। হাওড়ার আমতা এলাকাতেও অবরোধ চলছে। সেখানে সকাল ৭টা ৫ মিনিট থেকে অবরোধ শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। অন্যদিকে, পূর্ব রেল শাখায় শিয়ালদা দক্ষিণ রুটে বিঘ্নিত হয়েছে ট্রেন চলাচল। বারুইপুর-ডায়মন্ড হারবার ও বারুইপুর- লক্ষ্মীকান্তপুর শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে বলে খবর।
রবিবারও মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় এনআরসি ও সিএএ-এর বিরোধীতায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। আমডাঙা, অশোকনগর, মধ্যমগ্রামে রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে চলছে আন্দোলন। কোথাও আবার বিক্ষোভকারীদের জন্য রাস্তার উপরেই চলল রান্নাবান্না। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে টায়ার জ্বালিয়ে গাছের গুড়ি ফেলে চলছে অবরোধ। মুর্শিদাবাদের সরাগাছি স্টেশন থেকে শুরু করে,রেজিনগর,সাগড়দিঘির মনিগ্রাম স্টেশন,জেলার উত্তরের শেষ প্রান্তে অবস্থিত ফারাক্কা স্টেশনে চলে ট্রেন অবরোধ। আরপিএফের গাড়িতে অগ্নি সংযোগ করা হয়। অভিযোগ, সুতি থানার দফাহাট এলাকায় একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।পু
এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে আজ কলকাতায় মহামিছিল তৃণমূলের। মিছিলে হাঁটবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিলে অংশ নিতে সকলকে আহ্বান মমতার।