পুরভোটের আগে সিএএ-এনআরসি বিরোধিতায় আবারও একঝাঁক কর্মসূচি নিয়ে পথে নামছে তৃণমূল। বনগাঁ, কল্যাণী, রানাঘাটে তিনটি সভাও করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দলীয় বিধায়ক, জেলা সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক শেষে একথা জানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে কোন তিনদিন সভা করবেন মমতা, তা পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন পার্থ।
কী কী কর্মসূচি ঘোষণা করল তৃণমূল?
এদিন তৃণমূল মহাসচিব বলেন, ‘‘১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টোয় প্রতিবাদ সভা হবে। ৫-৭ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে ব্লক ও ওয়ার্ডে। দুপুর ২টো থেকে ৩টে পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হবে। সিএএ, এনআরসি, এনপিআর বিরোধিতায় ৬ ফেব্রুয়ারি মৌন মিছিল করা হবে সমস্ত ব্লকে। ৭ তারিখ পথসভা করা হবে। ৭ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি সব জনপ্রতিনিধিরা গ্রামে গ্রামে তফশিলিদের বাড়ি যাবেন। ১০-১৩ ফেব্রুয়ারি বুথে বুথে গিয়ে জনসংযোগ করবেন সব জনপ্রতিনিধিরা’’।
আরও পড়ুন: বিভাজিত টলিউড, দুই শিবিরে আড়াআড়ি ভাগ, কে কোন দলে?
অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস।
এদিন পার্থ জানান, ‘‘আমাদের দলনেত্রীও তিনটি সভা করবেন। বনগাঁ, কল্যাণী ও রানাঘাটে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোন দিন সভা হবে, তা পরে জানানো হবে’’।
আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় দল ছাড়লেন বিজেপির ৮০ মুসলিম নেতা
অন্যদিকে, দলীয় সংগঠনে রদবদল করা হল। বাঁকুড়ার সভাপতি করা হল শুভাশিস বটব্যালকে। সেখানে সহ-সভাপতি করা হল শ্যামল সাঁতরাকে।
উল্লেখ্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় প্রথম থেকেই সোচ্চার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএএ পাসের পর থেকেই রাজপথে নেমে সরব হয়েছেন মমতা। একঝাঁক কর্মসূচি নিয়ে পথে নেমেছে ঘাসফুল শিবির। এই আবহে পুরভোটের আগে সিএএ ইস্যুকে হাতিয়ার করে যেভাবে পথে নামছে মমতা বাহিনী, তা রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।