Mamata Banerjee: নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের পুনর্গণনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে মোট ৭টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। নন্দীগ্রামে পরাজিত হওয়ার কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের নির্বাচনী লড়াইতে নামতে হবে। মন্ত্রীপদে শপথ নেওয়ার পর ৬ মাসের মধ্যে রাজ্যের কোনও একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হওয়াই দস্তুর। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে সেই উপনির্বাচন নিয়েই একপ্রকার সংশয় প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। উপনির্বাচন না হলেই বা কী পরিস্থিতি হতে পারে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে অনেকের।
৮ দফায় বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার জন্য রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি ভয়ানক হয়েছে বলেও মনে করেন মমতা। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর প্রায় ২ মাস হতে চলল এখনও উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনও নড়চড়া চোখে পড়ছে না রাজনৈতিক মহলের। অন্যদিকে রাজ্যে ১১২টি পুরসভার নির্বাচনও বাকি রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, আসানসোল, শিলিগুড়ি, বিধাননগর ও চন্দননগর কর্পোরেশনেরও মাথায় বসে রয়েছেন প্রশাসকরা। রাজ্যে নির্বাচন কমিশন কবে পুরসভার নির্বাচন করবে তা নিয়েও কোনও ঘোষণা করা হয়নি।
আরও পড়ুন, ‘ধরি মাছ-না ছুঁই পানি’, বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে এক রা আরএসএস-ভিএইচপি-র
রাজনৈতিক বিশ্লেষক তথা অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করানোর। নির্বাচন কমিশন করাবেও। করোনা পরিস্থিতি দেখে নভেম্বরের প্রথম দিকে উপনির্বাচন হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী অযথা চাপ দিচ্ছেন। চাপ দিচ্ছেন, তার কারণ হল রাজনৈতিকরা ক্ষমতাকেন্দ্রীক। ক্ষমতা হারানোর ভয় তাড়া করে। নির্বাচন করানোর দায়টা নির্বাচন কমিশনের।" তিনি উল্লেখ করেন, "২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের পর প্রথম উপনির্বাচন হয়েছিল কোচবিহার ও তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে।"
যদি উপনির্বাচন ৬ মাসের মধ্যে না হয় সেক্ষেত্রে কী হতে পারে? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, "উপনির্বাচন না হলে সেক্ষেত্রে মন্ত্রীপদ হারানোর কোনও ভয় নেই। পদত্যাগ করেই আবার শপথ নিতে হবে। এটা এক ঘণ্টা বা দু মিনিটের ব্যবধান হতে পারে। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশিনের। তবে মন্ত্রীপদে শপথ নিয়েছে অথচ ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন হয়নি, এমন পরিস্থিতি কখনও হয়নি দেশে।"
আরও পড়ুন, উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে রুখতে মমতাকে পাশে চাইছেন বিরোধী নেতা!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন গত ৫ মে। তারপর থেকে ৬ মাস অর্থাৎ ৪ নভেম্বর। জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রাজ্যের উপনির্বাচন করার চিন্তাভাবনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। ৮ দফায় নির্বাচন হওয়ার পর রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি তুলেছে। তাই এবার অনেকটা সতর্ক নির্বাচন কমিশন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন