২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকে দুর্নীতি নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আমফানের ত্রাণ নিয়ে যারা দুর্নীতি করছে তার প্রমান মিললে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা। নেত্রীর সাফ কথা, দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করা হবে না। একইসঙ্গে বিজেপির প্রচারের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচারের ঝড় তোলার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে নিবিড় জনসংযোগ গড়ে তুলুন’।
আরও পড়ুন- একুশে জুলাই প্রথমবার সোশাল মিডিয়ায় সরাসরি বক্তব্য রাখবেন মমতা
আমফান ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ, বহু ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত সমিতি বা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের পরিবারের একাধিক সদস্য আমফান ঝড়ের ক্ষতিপূরণ বাবদ ২০ হাজার টাকা করে পেলেও দুর্গতদের একটা বড় অংশ টাকা তো দূরের কথা ত্রাণ বা ত্রিপল কিছুই পাননি। আমফান দুর্গত এলাকায় কান পাতলেই এই অভিযোগের কথা শোনা যাচ্ছে। বাঁধের ওপর কোনওরকমে দিন কাটছে অনেক জায়গায়। এমনকী নিত্যদিনই দুর্নীতি নিয়ে শুধু রাজনৈতিক নয় সাধারণ মানুষও বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস এই দুর্নীতির ইস্যুতে আন্দোলন করছে।
আরও পড়ুন- ত্রাণ দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে ক্ষতিগ্রস্তরা
সূত্রের খবর, এদিন তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, আমফান ঘূর্ণিঝড়ের ত্রাণ নিয়ে যারা দুর্নীতি করেছেন তাদের কোন ভাবেই ছাড়া হবে না। দুর্নীতি প্রমাণ হলে প্রধান হোক বা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। কেউ যেন তাদের বাঁচানোর চেষ্টা না করেন। আমার দলে কর্মীরাই সম্পদ। যারা ভাবছেন দুর্নীতি করে দলকে বদনাম করবেন, তাদের বিরুদ্ধে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে আমি নতুন নেতা তৈরি করে নেব। কিন্তু দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপোস করব না।
আরও পড়ুন- বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসতে কংগ্রেস নেতাকেই ভরসা করছে?
এদিকে, করোনা ও আমফান নিয়ে বিজেপি লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকী কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে এখানকার সাধারণ মানুষ যে বঞ্চিত তা নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, বিজেপি নেতারা রাস্তায় নামছেন সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার করছে, মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। আপনারা ঘরে চুপচাপ বসে আছেন কেন? প্রত্যেক বিধায়ককে নিজের বিধানসভায় জিততেই হবে। তাই নিবিড় জনসংযোগ করুন। জানি কোভিড সংক্রমণ রয়েছে। তার মধ্যেও সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে জনসংযোগ বাড়াতে হবে, বিজেপির অপপ্রচার রুখতে হবে। উত্তরবঙ্গের নেতৃত্বকে পরস্পরের সঙ্গে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে কাজ ভাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। চিন নিয়ে যা বলার তিনিই বলবেন অন্যদের মুখ খুলতে নিষেধ করেছেন নেত্রী।
আরও পড়ুন- দিলীপ-মুকুলের পরস্পর বিরোধী অবস্থান কি বাংলায় পদ্ম ফোটাতে বাধা?
এদিন, তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন কোষাধ্যক্ষ হলেন শুভাশিস চক্রবর্তী। ফলতার বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের মৃত্যুতে দলের কোষাধ্যক্ষের পদ খালি হয়েছিল। সেই স্থানে বসানো হলো রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূল নেত্রীর অন্যতম আস্থাভাজন নেতা শুভাশিস চক্রবর্তীকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন