সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে ‘চৌকিদার’ মোদীকে এবার বার্তা দিলেন ‘পাহারাদার’ মমতা। মঙ্গলবার পাথরপ্রতিমায় প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মমতার হুঙ্কার, ‘‘আমি আপনাদের পাহারাদার, কেউ আপনাদের অধিকার কাড়তে এলে, তাঁকে আমার শবদেহের উপর দিয়ে যেতে হবে’’। এ প্রসঙ্গে এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘‘কেন কাউকে কারও দয়ায় থাকতে হবে...কারও অধিকার কেড়ে নিতে দেব না’’।
আরও পড়ুন: ‘মমতাকে নাগরিকত্বের আবেদন করতে হবে না’, জানিয়ে দিলেন বিজেপি নেতা
অন্যদিকে, ইস্যুকে সমর্থন জানালেও বুধবার বামেদের ডাকা ধর্মঘটকে সমর্থন করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ধর্মঘট আমরা সমর্থন করি না। যখন থেকে সরকারে এসেছি, কোনও বনধ সমর্থন করিনি। ইস্যুকে সমর্থন করছি। আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা নাগরিকের পক্ষে। দেশের নাগরিকের অধিকারের পক্ষে। কিন্তু এজন্য বনধ করতে যাব কেন। একেই দেশে অর্থনৈতিক ক্ষতি চলছে। আবার বনধ করলে, হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট হবে। আসলে দেশ ভুগবে। আমি চাই না, মানুষের ভোগান্তি হোক। বনধ করে কী লাভ! বনধ না করে গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করুক এটাই চাই। বাংলায় কোনও বনধ হবে না’’।
আরও পড়ুন: ‘জেএনইউ-তে সাজানো ঘটনা, রক্ত না লাল রং?’, বিস্ফোরক দাবি দিলীপ ঘোষের
উল্লেখ্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় প্রথম থেকেই সোচ্চার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সিএএ পাস হওয়ার পর থেকেই এর বিরোধিতায় কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কলকাতায় টানা তিনদিন মহামিছিলের পর জেলাতেও সিএএ বিরোধী কর্মসূচি করছে তৃণমূল। গত শুক্রবার শিলিগুড়িতে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় পদযাত্রা করেন মমতা। সেদিন মমতা বলেন, ‘‘এখন একটাই প্রশ্ন, আমাদের ভবিষ্যতের ঠিকানা থাকবে কিনা। সকলে একজোট হোন। এটা দ্বিতীয় স্বাধীনতার লড়াই’’।
Read the full story in English