দিল্লিতে অচলাবস্থা কাটাতে যেন কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পিনারাই বিজয়ন, চন্দ্রবাবু নাইডু ও এইচ ডি কুমারস্বামীরা। নীতি আয়োগের বৈঠকের ফাঁকে আলাদা করে এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন এই চার মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লিতে আপ সরকার ও লেফট্যানেন্ট গভর্নরের মধ্যে যে টালবাহানা চলছে, তা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আর্জিও জানিয়েছেন ওই চার মুখ্যমন্ত্রী। রাজধানীতে কেজরিদের সমস্যা মেটাতে যেভাবে অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা, বিশেষ করে অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরা যেভাবে উদ্যত হয়েছেন, লোকসভার ভোটের আগে এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর টুইটারে মমতা লেখেন যে, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, কেরালার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছি আজ। দিল্লি সরকারের সমস্যা দ্রুত মেটানোর আর্জি জানিয়েছি আমরা।
আরও পড়ুন: মমতাসহ চার মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘ বৈঠকের সাক্ষী রইল দিল্লি
কেজরিওয়ালের ধরনা কর্মসূচির পাশে দাঁড়িয়ে ফেডারেল ফ্রন্টের জল্পনা যেন বাড়িয়ে দিলেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শুধু মমতাই নন, দিল্লিতে গিয়ে যেভাবে কেজরির পাশে দাঁড়িয়েছেন অন্ধ্র, কর্নাটক, কেরালার মুখ্যমন্ত্রীরা, তাতে লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী ঐক্যের ছবিই যেন সুস্পষ্ট হচ্ছে। শনিবার ওই তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন মমতা। বৈঠকের পরই কেজরির সঙ্গে দেখা করা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয় রাজধানীতে। বিভিন্ন ইস্যুতে দিল্লির লেফট্যানেন্ট গভর্নরের দফতরের সামনে তিন মন্ত্রীকে নিয়ে ধরনায় বসেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিকে কেজরিওয়াল এবং লেফট্যানেন্ট গভর্নরের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি মমতা-সহ চার মুখ্যমন্ত্রীকে। যা নিয়ে সোচ্চার হন মমতারা।
অন্যদিকে আপের বিক্ষোভে কংগ্রেসের সমর্থন না থাকার প্রসঙ্গে তৃণমূলনেত্রী বলেন, "দিল্লিতে কংগ্রেসের নিজস্ব অস্তিত্ব রয়েছে। ওরা চায় না, অন্য কোনও দল ক্ষমতায় আসুক, আর এটাই সমস্যা।"