কলকাতার ধর্না শেষ, এবার বিজেপি বিরোধী দলগুলো দিল্লিতে দুদিনের ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নিল। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআইয়ের হানা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না মঞ্চ সোমবার রাত থেকেই জাতীয় রাজনীতির মঞ্চ হয়ে উঠতে শুরু করে।
দুদিন ধরে দেশের বিরোধী নেতৃত্বের কাছ থেকে ধর্নার সমর্থনে ফোন পাচ্ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু মঙ্গলবার অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু পরিস্কার জানান, ২৩ পার্টির জোটের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ধর্না মঞ্চে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা যৌথভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও তিনি জানান। সোমবার এবং মঙ্গলবার মঞ্চে দেখা যায় আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকেও। আবার সোমবার উপস্থিত ছিলেন ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি।
আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বক্তব্য রাখছেন ধর্না মঞ্চে। ছবি: শশী ঘোষ
সিবিআই হানাকে কেন্দ্র করে তাঁর ধর্না মঞ্চকে জাতীয় রাজনীতির মর্যাদাই দিতে চাইছিলেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন চন্দ্রবাবু নাইডুর বক্তব্য তাঁকে নিশ্চিত স্বস্তি দিয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁরা এদিন দীর্ঘ সময় ধরে মঞ্চের পাশে বৈঠকও করেছেন। অন্যান্য বিরোধী নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে দিল্লিতে ধর্নায় বসার সিদ্ধান্তও ঘোষণা করেছেন মমতা। তাঁর পাশে তখন দাঁড়িয়ে চন্দ্রবাবু।
আরও পড়ুন: ‘ঠিক যেন সিঙ্গুর’; মমতার ধর্না মঞ্চ দেখে জনতার প্রতিক্রিয়া
একিদকে সুপ্রিম কোর্টের রায়, অন্য দিকে দিল্লিতে ধর্নার ঘোষণা, তারপর তিন দিনের ধর্না প্রত্যাহার করে নেওয়াকে আপাতত নৈতিক জয় হিসেবেই দেখছেন অভিজ্ঞ মহল। তাঁরা মনে করেন, এই আন্দোলন যেভাবে জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের কাছে গুরুত্ব পেয়েছে, তাতে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছেছে মমতার ধর্না।
এদিন মমতার ধর্না মঞ্চে চন্দ্রবাবু বলেন, "স্বৈরাচারীর হাত থেকে দেশকে বাঁচাতেই হবে। মোদীর আমলে গণতন্ত্র বিপজ্জনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। দেশের স্বার্থে সংবিধান রক্ষা করতে আমরা সবাই একজোট হয়েছি। বিরোধী দলের শাসনাধীন রাজ্যগুলিতে উন্নয়ন হতে দিচ্ছে না মোদী সরকার। এখানে তৃণমূল কর্মীরা স্ট্রং, বিজেপি এই রাজ্যে কিছু করতে পারবে না।"
মমতার আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তেজস্বী বলেন, "দেশ বাঁচাতে হলে মোদীকে হঠাতে হবে, বিজেপিকে হঠাতে হবে। দেশ বাঁচাতে বিরোধীরা লড়াই করছে।" রাজীব কাণ্ডে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ প্রসঙ্গে আরজেডি নেতা বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নৈতিক জয় হয়েছে আজ।"