সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তিতে এ রাজ্যের বশ কয়েকজন বিজেপি নেতা। কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, অর্জুন সিং-সহ পাঁচ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না। নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিজেপি নেতাদের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়।
বাংলায় পুলিশ দলীয় ক্যাডারে পরিণত হয়েছে। দাবি বিজেপি সহ তৃণমূল বিরোধী সব রাজনৈতিক দলেরই। গেরুয়া দলের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অহরহ বিজেপি নেতাদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করেই সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেনন।
আরও পড়ুন- ফের ধাক্কা তৃণমূলের, দল ছাড়লেন আরও এক বিধায়ক
উল্লেখ্য, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ২০১৯ সালে সরস্বতী পুজোর রাতে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের মামলার চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসাবে মুকল রায়ের নাম রয়েছে। অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে ভাটপাড়ার সমবায় ব্যাংকে আর্থিক তছরূপের মামলা রয়েছে। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে তল্লাশি করে পুলিশ। যেগুলি আতকে বিজেপির হেভিওয়েট নেতাদের হেনস্থা ও শাসক শিবিরের রাজনৈতিক প্রহিংসার চেষ্টা বলেই দাবি বিজেপির।
আরও পড়ুন- ফ্লেক্সে শাহ-র নিচে কবিগুরুর ছবি! কটাক্ষ তৃণমূলের, পাল্টা বিজেপি
এর বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন অরবিন্দ মেনন। সেই মামলারই শুনানি ছিল শুক্রবার। ওই মামলার শুনানির পর সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে নির্দেশ দেয়, এখনই কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, অর্জুন সিং-সহ পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে নেওয়া যাবে না কোনও কঠোর পদক্ষেপ। তবে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে বলেই জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়। তিনি বলেছেন, 'পুলিশ যেকোনও অজুহাতে মামলা দিয়ে দিচ্ছে। সরকার বিরোধিতা করলেই হেনস্থাই ওদের মূল লক্ষ্য। তার বিরুদ্ধেই সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। সবদিক খতিয়ে দেখেই আদালত নির্দেশ দিচ্ছে। ওই রায়কে স্বাগত।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন