সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বাংলার প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর পৌঁছেছে দিল্লির দরবারেও। এই আবহে বৃহস্পতিবার কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর। বিরোধীদের এই প্রতিবাদ আদপে নিজেদের দুর্নীতি আড়াল করার জন্যই পরিকল্পিত বলে এদিন চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন মোদী সরকারের এই প্রতিমন্ত্রী।
কলকাতার একাধিক বণিকসভা দ্বারা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নিতে এসে এনআরসি, এনপিআর বিরোধীদের তোপ দাগতে ছাড়েননি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার অনুরাগের নিশানায় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। ১৯৮৫ সালে আসাম চুক্তির প্রসঙ্গ টেনে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, আসাম চুক্তির মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী যে নাগরিকপঞ্জি আইন নিয়ে এসেছিলেন, সেই আইন নিয়েই এখন প্রশ্ন তুলছেন রাজীব-জায়া সোনিয়া। এটা একেবারেই যুক্তিগ্রাহ্য নয়।
আরও পড়ুন: অভিষেকের স্ত্রী মমতার উদাহরণ
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের অনুরাগ বলেন, "আমাদের ভাবতে হবে যে এই দেশে এতদিন ধরে এনপিআর হয়ে এসেছে। তাহলে এখন এর বিরোধিতা করার কী কারণ? মমতা সরকার নিজেরা এখনও দুর্নীতির অভিযোগ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি, তাই অরাজনৈতিক ইস্যুগুলিকে রাজনৈতিক ইস্যু করে তুলছেন।" এই প্রাক্তন বিসিসিআই-কর্তা আরও বলেন, "আমি মুখ্যমন্ত্রী (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের জিজ্ঞাসা করতে চাই, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে তাঁরা এমন কোনও শব্দ দেখাক, যেখানে বলা হয়েছে যে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে?"
আরও পড়ুন: নির্ভয়ার ধর্ষকের প্রাণ ভিক্ষার আর্জি খারিজ রাষ্ট্রপতির
উল্লেখ্য, নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তাল হয়েছে দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়। জেএনইউ, জামিয়ার মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিশেষভাবে নজর কেড়েছে এ ক্ষেত্রে। এই প্রসঙ্গে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, দেশের ৩২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কয়েকটি হাতে গোনা বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। তাঁর আরও দাবি, "রাজনৈতিক দলগুলি তাঁদের রাজনৈতিক স্বার্থেই শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছে। বাম ছাত্রদের সংগঠনগুলি জেএনইউকে তাঁদের রাজনীতির আখড়া বানিয়ে তুলেছে। তারা জেএনইউতে সার্ভাররুমে ভাঙচুর করে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করতে বাধা দিচ্ছে। তদন্ত করে এই সত্যটি উদঘাটন করা উচিত।"
Read the story in English