উনিশের লড়াইয়ে মোদীবাহিনীকে ক্ষমতাচ্যুত করতে উঠেপড়ে লেগেছে বিরোধীরা। এ বছরের গোড়া থেকেই অবিজেপি ফ্রন্ট গঠনে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিরোধী শিবির। লোকসভা ভোটের আগে এবার সেরকমই এক জোটের ইঙ্গিত মিলল। উনিশের নির্বাচনকে মাথায় রেখে উত্তরপ্রদেশে একে অপরের হাত ধরছে সপা, বসপা ও আরএলডি। যদিও অখিলেশ, মায়াবতীরা কংগ্রেসের হাত ধরেননি। বুধবার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এমন খবরই ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু রাজনৈতিক মহলে। সপা-বসপা-আরএলডি-র জোটের সম্ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সপা-বসপা-আরএলডি-র জোটের সম্ভাবনা নিয়ে মমতা বলেছেন, ‘‘এটা হওয়া বাধ্যতামূলক। আমরা এটাকে স্বাগত জানাচ্ছি।’’ নিজেরা আসন নিয়ে ভাগ-বাঁটোয়ারার কাজ করলেও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলায়নি সপা-বসপারা। এ প্রসঙ্গে মমতার সাফ কথা, ‘‘কী হয়েছে, যদি কংগ্রেস এই জোটে না থাকে। অনেক জায়গায় কংগ্রেস একা লড়ছে। কয়েক জায়গায় আবার আঞ্চলিক দলগুলি শক্তিশালী। সুতরাং এটা কোনও রাজ্যের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করে অনেকটা।’’
আরও পড়ুন, তিন রাজ্যে হারের কারণ পর্যালোচনা করে লোকসভা ভোটে দেশের হিন্দি হৃদয় জিতবে বিজেপি: শাহ
অন্যদিকে, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিরোধী ঐক্যের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন, তা নিয়েও জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। সে প্রসঙ্গে এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমি একা নই। আমরা সকলে একসঙ্গে কাজ করছি। ফলে, যেসব রাজনৈতিক দলগুলো একজোট হবে, সকলে মিলে ঠিক করা হবে। আমরা সেই সিদ্ধান্তকেই সমর্থন জানাব। এটার সঠিক সময় নয় এখন।’’
উল্লেখ্য, ক’দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে রাহুল গান্ধীর নাম উল্লেখ করেছিলেন ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন। মোদীবাহিনীকে পরাস্ত করতে রাহুলের মতো একজনকেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা জরুরি বলে সওয়াল করেন করুণানিধি পুত্র। যা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে বিরোধী শিবির।
Read the full story in English