/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/05/mamata-4.jpg)
ফাইল ছবি
নারদা-কাণ্ডে ধৃত চার জনের ভার্চুয়ালি শুনানি শুরু হতেই নিজাম প্যালেস ছাড়েন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের শুনানিতে ধৃতদের ১৪ দিনের সিবিআই হেফাজত দাবি করা হয়েছে। যদিও এই গ্রেফতারি বেআইনি বলে দাবি করেন ধৃতপক্ষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে ধৃতদের জামিন দিলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পাড়ে। এই আবেদন আদালতে করেছেন সিবিআই আইনজীবী। যদিও এখনও জামিন মামলার রায় দেয়নি ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। সন্ধার কিছু পরে রায় ঘোষণার সম্ভাবনা।
আজ সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আচমকা এদের বাড়িতে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়। নারদকাণ্ডে আরেক অভিযুক্ত সাসপেন্ডেড আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জার বিরুদ্ধেও আদালতে চার্জশিট পেশ করবে সিবিআই, খবর সূত্রের। নারদ-মামলায় একই অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন গ্রেফতার নয় মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী? বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্যই কি ছাড়? প্রশ্ন তৃণমূলের।
এদিকে, সোমবারই নারদা মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করেছে রাজ্যের তিন মন্ত্রীকে। নিজাম প্যালেসে নিয়ে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে অ্যারেস্ট মেমো সই করানো হয় বলে সূত্রের খবর। এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে পৌঁছালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সকাল ১০টা ৪৭ মিনিট নাগাদ নিজাম প্যালেসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সিবিআই আধিকারিকদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন আগে তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে, তা না হলে তিনি সিবিআই দফতর ছাড়বেন না।
নিজাম প্যালেসের ভেতরে গ্রেফতার তৃণমূল নেতাদের আইনজীবীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলছেন বলে জানা গেছে। দল যে এই ঘটনায় পাশে রয়েছে, সেই বার্তা দিতে তিনি পৌঁছলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যের মন্ত্রীদের গ্রেফতার নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বিক্ষভ দেখাতে শুরু করে। তৃণমূল কংগ্রেস এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং এটিকে “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে অভিহিত করেছে। পশ্চিমবঙ্গ আইনসভার আইনজীবী ও স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায় বলেন, “একজন আইনজীবী হিসাবে আমি বলতে পারি যে এটি অবৈধ। একজন বিধায়ককে গ্রেফতারের আগে রাজ্য বিধানসভার স্পিকারের সম্মতি নেওয়া দরকার। সিবিআইয়ের কেবল রাজ্যপালের সম্মতি রয়েছে। ”
লোকসভার সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “এটি রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত। যে দল নির্বাচনে ভোট হারিয়েছিল তারা এখন বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের গ্রেফতারের জন্য সিবিআইকে ব্যবহার করছে।”