বঙ্গ রাজনীতিতে ঝালমুড়ি প্রসঙ্গ বহুল চর্চিত। কিন্তু, এবার মুড়ি খাওয়া থেকেই বাবুল সুপ্রিয়কে সতর্ক করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। 'দিদি'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাবধানবাণী মেনে চলার কথা নিজেই জানালেন ঝালমুড়িকাণ্ডের অন্যতম চরিত্র বাবুল।
শনিবার আচমকাই তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল সুপ্রিয়। সোমবার নবান্নে তিনি সাক্ষাৎ করেন তাঁর দতুন দলের নেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তীক্ততা ভুলে এখন মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবহারে আপ্লুত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে, মমতা-বাবুল সাক্ষাতেও বাদ যায়নি মুড়ি প্রসঙ্গ।
ঝাড়মুড়ি নিয়ে 'দিদি' আজ তাঁকে কিছু বলেছেন কী? সাংবাদিকদের বাবুল বলেন, "ওনার (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) মত আমিও মুড়ি খেতে ভালোবাসি। দিদি বলেছেন মুড়ি খেলে ওজন বাড়ে। গ্রামের মুড়ি খেলে উপকারী। এখানে যেগুলো পাওয়া যায় ওই মুচমুচে মুড়িতে ইউরিয়া দেওয়া থাকে। যেটা শরীরের জন্য খারাপ। উনিও সেটা খান না। আমাকেও থেকে বারন করেছেন। এখন থেকে ছোট চালের মুড়ি কিনব।"
আরও পড়ুন- ‘দিদির আস্থার পূর্ণ মর্যাদা দেব’, মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে দাবি বাবুলের
প্রায় বছর চারেক আগের কথা। কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সভা সেরে রাজভবনে ফেরার পথে তৎকালীন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে নিজের গাড়িতে তুলে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে গাড়ি থামিয়ে বাবুলকে ঝালমুড়ি খাইয়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনা নিয়ে নানা আলোচনা চলেছে রাজনৈতিক মহলে। এমনকী সেই সময়, বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষদেরও কড়া আক্রমণের শিকার হতে হয় তাঁকে। এরপর একাধিকবার মমতার সঙ্গে তাঁর ঝাড়মুড়ি খাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বাবুল সুপ্রিয়।
গোটাটাকেই সৌজন্য বলে একাধিকবার দাবি করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। অবশ্য তৃণমূলে যোগদানের পর আর ঝালমুড়ি নয়, এবার ধোকলা দৌত্যে বাজিমাত করতে চান বাবুল সুপ্রিয়। রবিবার তিনি বলেছেন, "আগামিদিনে বাংলায় কাজের প্রয়োজনে ঝালমুড়ি বদলে বিজেপি নেতাদের বাড়িতে ধোকলা খেতেও আপত্তি নেই।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন