লোকসভা নির্বাচনের পরও মোদী সরকারের সঙ্গে সংঘাত জিইয়ে রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ১৫ জুন নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদীকে পাঠানো চিঠিতে মমতা লিখেছেন, ‘‘নীতি আয়োগের কোনও আর্থিক ক্ষমতা নেই। রাজ্যের পরিকল্পনা রূপায়ণে কোনও ক্ষমতা নেই নীতি আয়োগের। তাই এই বৈঠকে যোগ দিয়ে কোনও লাভ নেই’’।
উল্লেখ্য, নীতি আয়োগের বৈঠকে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাচ্ছেন না, সে ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল প্রশাসনিক মহলে। প্রশাসনিক সফরে যাওয়ার আগে যে প্রস্তুতি দরকার পড়ে, সেই তোড়জোড় এবার চোখে পড়েনি। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী যোজনা কমিশন ভেঙে নীতি আয়োগের জন্ম দেন। তবে বিগত কয়েকবছর ধরেই এই নীতি আয়োগের বৈঠকে এড়িয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর ঈদ ও নীতি আয়োগের বৈঠক একই দিনে পড়ায়, যেতে পারেননি মমতা। সেবার মমতার প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু অমিতের প্রতিনিধিত্বের প্রস্তাব পত্রপাঠ নাকচ করে দেয় কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: মোদী জি, আমি দুঃখিত, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারছি না: মমতা
প্রসঙ্গত, মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও অংশ নেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা জানালেও পরে মত বদলান মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচনের পর রাজনৈতিক হিংসার জেরে পশ্চিমবঙ্গে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে বিজেপি এবং সেই মর্মে সংবাদমাধ্যমে খবরও প্রচার করা হয়। কিন্তু এই তথ্য সঠিক নয়। আর এর প্রতিবাদেই মোদীর শপথ গ্রহণে অনুপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে ‘গণতন্ত্রের মহৎ উদযাপন’ আখ্যা দিয়ে মমতা বলেছিলেন, এই অনুষ্ঠানকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক ফসল তোলা উচিত না।